top of page
Writer's pictureKaveri Nandi

বেগুন - রুই - পোনার - সর্ষে - পোস্তর - ঝাল


বেগুন এই সব্জিটার পরিচয় সবারই জানা |তবে শীতের শুরু থেকে সারা শীত এর চাহিদা কিন্তু অনেক অনেক বেড়ে যায় | শীতকালে বেগুনের স্বাদ ও যেন অনেক বেড়ে যায় | মানুষ অপেক্ষাই করে থাকে, কখন শীত পড়বে ! জমিয়ে প্রিয়মেনু বেগুন পোড়া খাবো | গ্রামে গঞ্জে ঘরে ঘরে শীতের মরশুমে হয় বেগুনপোড়া মুড়ি, নয়তো বেগুনপোড়া রুটি |


বে -গুন্, অনেকেরই ধারণা নেই কোনো গুন্ | কিন্তু সবটাই ভুলে ভরা, বেগুন অজস্র গুনে ভরা | অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট - এ আর ফাইবারে ভরপুর বেগুন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট, হাজাম ক্ষমতা প্রভৃতি শরীরের নানা রোগ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভাবে উপযোগী | আমার মনে হয় প্রত্যেক রান্নাঘরেই মাঝে মাঝে বেগুনের মেনু রাখাই উচিত |


আজকে আমার রান্নাঘরে আমিষের মেনুতে রয়েছে মাঝারি সাইজের রুই-পোনা | বাড়ির সবার ইচ্ছা রুই-পোনার সর্ষে -পোস্ত ঝাল হোক | ঠিকই আছে ,কিন্তু সবজির বাজারের থলিতে দেখি নানা সবজির মধ্যে রয়েছে লম্বা লম্বা সরু সরু কালো বেগুন ,আর ধনেপাতা | ভাবলাম রুই-পোনার সর্ষে -পোস্ত ঝালের মধ্যে লম্বা লম্বা করে কাটা বেগুন আর ধনেপাতাও দেব , খেতে অসাধারণ হবে , স্বাদে একটু নতুনত্ব ও আসবে |ব্যাস ! ভাবনা সারা | এবার শুধু মন দিয়ে রাঁধা রাঁধি |


উপকরণ:-

  • রুই-পোনা -৮০০ গ্রাম

  • লম্বা সরু কালো বেগুন - ৪০০ গ্রাম (লম্বা লম্বি চিরে একটু লম্বা লম্বা টুকরো করে কাটা )

  • ধনেপাতা কুচি - ১/২ কাপ

  • কাঁচা লঙ্কা - ৭-৮ টি ,লম্বা লম্বি চেরা ( ঝাল নিজের পছন্দ মতো )

  • সর্ষে বাটা -৩-৪ চামচ

  • পোস্ত বাটা - ৩-৪ চামচ

  • হলুদ - ২-৩ চামচ

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • চিনি -কয়েকদানা ( স্বাদের জন্য )

  • পাঁচফোড়ন - ১-২ চামচ

  • সরিষার তেল -প্রয়োজনমতো


পদ্ধতি :-

রুই-পোনা গুলো ভালো করে জলে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখলাম | গ্যাসে কড়াই চাপলাম | প্রয়োজনমতো তেল দিয়ে বেগুন গুলো হালকা করে ভেজে তুলে রাখলাম | কড়াই পরিষ্কার করে গ্যাসে চাপিয়ে খানিকটা তেল দিলাম | তেল ভালোমতো গরম হলে পোনা মাছগুলো কড়া করে ভেজে নিলাম |

এবার কড়াইতে প্রয়োজনমতো তেল দিয়ে , দিলাম পাঁচফোড়ন ,সর্ষে -পোস্ত বাটা আর সামান্য জল |একটু নাড়াচাড়া করে দিলাম নুন,হলুদ ,চিনি ,কুচানো ধনেপাতা | সমস্ত উপকরণ ভালো করে নেড়ে নিয়ে দিলাম রসার পরিমাণমতো জল | সর্ষে -পোস্তর ঝোল ফুটে উঠলেই, ভাজা মাছ গুলো ঝোলে দিয়ে দিলাম |



আঁচ কমিয়ে রান্নাটা একটু হতে দিলাম |রান্নার সুন্দর গন্ধ বের হলেই আঁচ বাড়িয়ে ঝোলে ভাজা বেগুনের টুকরোগুলো ছেড়ে দিলাম | ঝোল কিছুক্ষন টগবগ করে ফোটার পর রান্নার স্বাদ দেখে রসার পরিমান ঠিক করে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে রান্না একটা ঢাকা দিয়ে রাখলাম |


এখন দুপুরে খাবার টেবিলে সবার খাবার পালা | খেতে খেতে একটা শব্দই শুনতে পেলাম , বাঃ! বাঃ ! বাঃ ! চমৎকার ! বড়োই সুন্দর ! খুব খুব ভালো |


পদ্ধতি রুই-পোনা গুলো ভালো করে জলে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখলাম | গ্যাসে কড়াই চাপলাম | প্রয়োজনমতো তেল1আপনারও সবাই ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন , আনন্দে থাকুন -আমার সব সময়ের ইচ্ছা |


4 views0 comments

Comments


bottom of page