বেগুন এই সব্জিটার পরিচয় সবারই জানা |তবে শীতের শুরু থেকে সারা শীত এর চাহিদা কিন্তু অনেক অনেক বেড়ে যায় | শীতকালে বেগুনের স্বাদ ও যেন অনেক বেড়ে যায় | মানুষ অপেক্ষাই করে থাকে, কখন শীত পড়বে ! জমিয়ে প্রিয়মেনু বেগুন পোড়া খাবো | গ্রামে গঞ্জে ঘরে ঘরে শীতের মরশুমে হয় বেগুনপোড়া মুড়ি, নয়তো বেগুনপোড়া রুটি |
বে -গুন্, অনেকেরই ধারণা নেই কোনো গুন্ | কিন্তু সবটাই ভুলে ভরা, বেগুন অজস্র গুনে ভরা | অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট - এ আর ফাইবারে ভরপুর বেগুন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট, হাজাম ক্ষমতা প্রভৃতি শরীরের নানা রোগ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভাবে উপযোগী | আমার মনে হয় প্রত্যেক রান্নাঘরেই মাঝে মাঝে বেগুনের মেনু রাখাই উচিত |
আজকে আমার রান্নাঘরে আমিষের মেনুতে রয়েছে মাঝারি সাইজের রুই-পোনা | বাড়ির সবার ইচ্ছা রুই-পোনার সর্ষে -পোস্ত ঝাল হোক | ঠিকই আছে ,কিন্তু সবজির বাজারের থলিতে দেখি নানা সবজির মধ্যে রয়েছে লম্বা লম্বা সরু সরু কালো বেগুন ,আর ধনেপাতা | ভাবলাম রুই-পোনার সর্ষে -পোস্ত ঝালের মধ্যে লম্বা লম্বা করে কাটা বেগুন আর ধনেপাতাও দেব , খেতে অসাধারণ হবে , স্বাদে একটু নতুনত্ব ও আসবে |ব্যাস ! ভাবনা সারা | এবার শুধু মন দিয়ে রাঁধা রাঁধি |
উপকরণ:-
রুই-পোনা -৮০০ গ্রাম
লম্বা সরু কালো বেগুন - ৪০০ গ্রাম (লম্বা লম্বি চিরে একটু লম্বা লম্বা টুকরো করে কাটা )
ধনেপাতা কুচি - ১/২ কাপ
কাঁচা লঙ্কা - ৭-৮ টি ,লম্বা লম্বি চেরা ( ঝাল নিজের পছন্দ মতো )
সর্ষে বাটা -৩-৪ চামচ
পোস্ত বাটা - ৩-৪ চামচ
হলুদ - ২-৩ চামচ
নুন - প্রয়োজনমতো
চিনি -কয়েকদানা ( স্বাদের জন্য )
পাঁচফোড়ন - ১-২ চামচ
সরিষার তেল -প্রয়োজনমতো
পদ্ধতি :-
রুই-পোনা গুলো ভালো করে জলে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখলাম | গ্যাসে কড়াই চাপলাম | প্রয়োজনমতো তেল দিয়ে বেগুন গুলো হালকা করে ভেজে তুলে রাখলাম | কড়াই পরিষ্কার করে গ্যাসে চাপিয়ে খানিকটা তেল দিলাম | তেল ভালোমতো গরম হলে পোনা মাছগুলো কড়া করে ভেজে নিলাম |
এবার কড়াইতে প্রয়োজনমতো তেল দিয়ে , দিলাম পাঁচফোড়ন ,সর্ষে -পোস্ত বাটা আর সামান্য জল |একটু নাড়াচাড়া করে দিলাম নুন,হলুদ ,চিনি ,কুচানো ধনেপাতা | সমস্ত উপকরণ ভালো করে নেড়ে নিয়ে দিলাম রসার পরিমাণমতো জল | সর্ষে -পোস্তর ঝোল ফুটে উঠলেই, ভাজা মাছ গুলো ঝোলে দিয়ে দিলাম |
আঁচ কমিয়ে রান্নাটা একটু হতে দিলাম |রান্নার সুন্দর গন্ধ বের হলেই আঁচ বাড়িয়ে ঝোলে ভাজা বেগুনের টুকরোগুলো ছেড়ে দিলাম | ঝোল কিছুক্ষন টগবগ করে ফোটার পর রান্নার স্বাদ দেখে রসার পরিমান ঠিক করে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে রান্না একটা ঢাকা দিয়ে রাখলাম |
এখন দুপুরে খাবার টেবিলে সবার খাবার পালা | খেতে খেতে একটা শব্দই শুনতে পেলাম , বাঃ! বাঃ ! বাঃ ! চমৎকার ! বড়োই সুন্দর ! খুব খুব ভালো |
পদ্ধতি রুই-পোনা গুলো ভালো করে জলে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখলাম | গ্যাসে কড়াই চাপলাম | প্রয়োজনমতো তেল1আপনারও সবাই ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন , আনন্দে থাকুন -আমার সব সময়ের ইচ্ছা |
Comments