top of page

পোস্ত -পুরে - কুমড়ো - পাতা


রোজকার বাজার এসে গেছে। দেখিতো...... কি কি এলো ! দেখতে তো ভালোই লাগে। কারণ আজকের মেনুও তো বাজার দেখেই ঠিক করতে হবে। প্রথমেই দেখি খানিকটা কুমড়োর ডগা। সবুজ সবুজ পাতায় ভরা কচি কচি ডগা। বাঃ ! টাটকা টাটকা সবুজ পাতায় মন কেমন খুশিতে ভরে উঠলো। হঠাৎ সবুজ পাতাগুলোর দিকে তাকিয়ে একটা খুব খুব মুখরোচক মেনুর কথা মনে পরে গেলো। নাঃ ! একবার যখন ভেবে ফেলেছি , তখন আমি তো মেনুটা তৈরি করবোই করবো।



ভাবতে ভাবতে বড়ো ছোট মিলিয়ে ১২-১৩টা সবুজ কুমড়োর পাতা কুমড়োর ডগা থেকে ছিঁড়ে নিয়ে একটা নরম কাপড়ে মুড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিলাম। রাতে তৈরি করবো কুমড়োর পাতা গুলোর মধ্যে পোস্তর পুর ভরে নিয়ে গরম গরম বড়া। অসাধারণ স্বাদে ভরপুর আর অসম্ভব মুখরোচক এই বড়া। কাউকে কিছুই জানালাম না। অপেক্ষা করতে লাগলাম ,রাতের খাবারের টেবিলের জন্য।


পোস্ত - পুরে - কুমড়োর - পাতার বড়া ......বুঝতেই পারছেন কি দারুন স্বাদের হবে। যেখানে রান্নায় পোস্ত ,সেখানেই স্বাদের বোধহয় কোনো তুলনা নেই। পোস্ত খেতে ভালো বাসেনা ,এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। আর যে কোনো ধরণের ভাজা বড়া আমাদের সবারই ভীষণ ভীষণ প্রিয়। তাই সবাইকে একটু চমকে দিয়ে রাতে খাবার পাতে তাদের মন ভরিয়ে দেবো।


বিকালবেলা চায়ের পাট শেষ হতেই ,রান্নাঘরে ভিজিয়ে দিলাম পরিমাণমতো পোস্ত।


উপকরণ :-


  • কুমড়ো পাতা - ১২-১৩টি ছোট বড়ো মিলিয়ে ( ছোট পাতাগুলো গোটা গোটা আর বড়ো পাতা গুলো ২টুকরো করে কাটা ,মোট ২০-২২টি টুকরো )

  • পোস্ত - ১০০ গ্রাম

  • কাঁচালঙ্কা - ৩-৪টি গোটা

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • চিনি - প্রয়োজনমতো

  • সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো


পদ্ধতি :-


প্রথমেই ভেজানো পোস্ত জল ঝরিয়ে মিক্সিতে নিলাম। দিলাম ৩টি কাঁচালঙ্কা। প্রয়োজনমতো নুন আর স্বাদ বাড়ানোর জন্য কয়েকদানা চিনি। পোস্ত মিহি করে বেটে নিয়ে একটা পাত্রে ঢেলে রাখলাম। বাটা পোস্তর স্বাদ দেখে নিলাম। কুমড়ো পাতার টুকরো গুলো ও ভালো করে জলে ধুয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে নিলাম।


এবার এক একটা কুমড়ো পাতার টুকরোর মধ্যে খানিকটা পোস্ত বাটা নিয়ে ,ভালো করে মুড়ে পানের খিলির মতো তৈরি করে নিলাম। এইভাবে সমস্ত পাতার টুকরোতে পোস্ত পুর ভরে মুড়িয়ে রাখলাম।


গ্যাসে তাওয়া ( ফ্রাইং প্যান হলে তো খুবই ভালো ) চাপলাম। খানিকটা তেল দিলাম। তেল গরম হতেই আঁচ কমিয়ে পোস্ত বাটা পুর ভরা কয়েকটা মোড়ানো কুমড়োপাতা তাওয়ার উপর চাপিয়ে দিলাম। আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে মোড়ানো কুমড়োপাতাগুলোর এক দিকটা মুচমুচে করে ভেজে নিলাম। এরপর মোড়ানো পাতাগুলো উল্টে দিয়ে ,সেই

দিকটাও আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে মুচমুচে করে ভেজে নিলাম। ভাজা কুমড়োর বড়াগুলো তাওয়া থেকে তুলে একটা পাত্রে রেখে দিলাম। এইভাবে সমস্ত পোস্ত পুর ভরা কুমড়ো পাতার বড়া ভেজে নিলাম।


এ দিকে দেখি খাবার টেবিলে বাড়ির সবাই উপস্থিত। রান্নার আনন্দে খেয়াল করিনি সবার প্রিয়

পোস্ত - পুর - ভরা - কুমড়ো পাতা ভাজার সুন্দর গন্ধে চারিদিক ম ম করছে। সবার গলার স্বর ......কখন বানালে বুঝতেই পারিনি। দারুন ! দারুন করেছো ! জিভে যে জল এসে যাচ্ছে। দাও তাড়াতাড়ি খেতে দাও ......। সবাইকে দিলাম গরম গরম ভাত আর ২-৩টি করে মুচমুচে ,মুখরোচক পোস্ত - পুর - ভরা - কুমড়োপাতার বড়া। বড়োই আনন্দে ,খুশিতে শেষ হলো আমাদের রাতের খাওয়া দাওয়া। সুন্দর স্বাদে আর তৃপ্তিতে সবার মন ভরপুর ........


সব্বাই ভালো খান ,ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন আর থাকুন অনেক অনেক আনন্দে।

2 views0 comments

Comments


bottom of page