আমাদের খাওয়া দাওয়া কেমন হওয়া উচিত ...বইয়ের পাতায় খুজুন, ডায়েটিশিয়ানের কাছে ছুটুন বা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে দেখুন ....তেল মশলা কম খেতে হবে ,প্রোটিন তো অবশ্যই ডায়েটে রাখতে হবে ,প্রচুর জল খেতে হবে ,আর খেতে হবে অনেক অনেক সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি ইত্যাদি ........|সবুজ শাকসবজি তো খেতেই হবে | তাই রোজই আমি আমার রান্নাঘরে রাখি
কোনো না কোনো সবুজ সবজির মেনু |
আমার রান্নাঘরে আজ সবুজ সবজি পেঁপে | পেঁপে খুবই উপকারী সবজি | লিভার ভালো রাখতে ,হজম শক্তি বাড়াতে এই সবজির তুলনাই হয় না | তবে একটা খুবই সত্যি কথা ,পেঁপেতো আমার খুবই প্রিয়,আর বাড়ির সবাইও এর সব মেনুই খুব আনন্দের সঙ্গেই খায়| আজ রাঁধছি একটু মুখরোচক করে মটর ডালের বড়া দিয়ে পেঁপের ডালনা | দুপুরের টেবিলে নিরামিষ মেনু |
উপকরণ :-
পেঁপে - ১টি মাঝারি সাইজের (খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট ডুমো ডুমো করে কাটা )
আলু - ৪টি মাঝারি সাইজের (খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট ডুমো ডুমো করে কাটা )
কাঁচালঙ্কা - ৪-৫টি
গোটাজীরে -১-২ চামচ
হলুদ গুঁড়ো - ১.৫ - ২ চামচ
জিরেগুঁড়ো - ৩-৪ চামচ
লালঙ্কাগুঁড়ো - ১- ১.৫ চামচ ( একটু ঝাল যারা পছন্দ করেন আর সুন্দর রঙেরও জন্য )
তেজপাতা - ৩-৪টি
আদা - ইঞ্চি খানেক
রসুন - ৭-৮ কোয়া
নুন - প্রয়োজনমতো
চিনি - প্রয়োজনমতো
সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো
গরম মশলা -হাফ চামচ থেকে ১ চামচ
ঘি - ২ চামচ
মটর ডাল- ২৫০ গ্রাম
পদ্বতি :-
আগের দিন রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে মটর ডাল গুলো ভালো করে ধুয়ে জলে ভিজিয়ে দিলাম | আজ সকালে জলখাবার শেষ করে দুপুরের রান্নায় মন দিলাম | মটর ডাল জল থেকে তুলে মিক্সিতে নিয়ে বেটে নিলাম আর একটা পাত্রে রেখে দিলাম | এবার কাঁচালঙ্কা ,আদা, রসুন মিক্সিতে নিয়ে ভালো করে বেটে নিলাম | মটর ডাল বাটা খুব ভালো করে ফেটিয়ে রাখলাম |গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে প্রয়োজনমতো তেল দিলাম | তেল গরম হলে আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে মটর ডাল বাটা থেকে বড়ার আকারে ভেজে তুলে রাখলাম |
এখন এই তেলের মধ্যে আর একটু তেল দিয়ে দিলাম গোটা জিরে ,জলে ধোয়া কাটা আলুগুলো আর কয়েকটি তেজপাতা | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে আলুগুলো ভাজতে লাগলাম | আলু একটু রাঙা রাঙা হলেই দিলাম জলে ধোয়া ডুমো ডুমো করে কাটা পেঁপের টুকরোগুলো | আবারো আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে সমস্ত উপকরণ ভাজতে লাগলাম |
সব ভাজা ভাজা হলে আঁচ কমিয়ে দিলাম নুন ,চিনি ,আদা-রসুন -কাঁচালঙ্কা বাটা | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে ভালো করে নাড়তে লাগলাম ,দিলাম হলুদগুঁড়ো ,জিরেগুঁড়ো আর লাল লঙ্কাগুঁড়ো |কড়াইয়ের সমস্ত উপকরণ ভালো করে কষতে লাগলাম | কষা মশলার সুন্দর গন্ধ বেরোতেই ,রান্নায় প্রয়োজনমতো জল দিলাম | ঝোল টগবগ করে ফুটে উঠতেই আঁচ কমিয়ে একটা ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিলাম |
ঝোলের মধ্যে আলু পেঁপে বেশ মজে গেলেই ,দিলাম ভেজে রাখা মটর ডালের বড়াগুলো | আঁচ বাড়িয়ে ঝোল কিছুক্ষন ফুটতে দিলাম | ঝোলের পরিমান ঠিকঠাক মনে হতেই রান্নার স্বাদ দেখে নিলাম| দিলাম গরম মশলার গুঁড়ো আর ঘি | ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করলাম |
মটর ডালের বড়ার স্বাদে, পেঁপের ডালনাও স্বাদে গুনে যেন অসাধারণ হয়ে উঠেছে | রান্নার সুন্দর গন্ধ বেশ ভালোই লাগছে | দেখি খাবার টেবিলে সবার কেমন লাগবে!একটু চিন্তায় তো রয়েইছি|
দেখি ,অবাক কান্ড !সবার মুখে অনেক অনেক প্রসংশা | কি বানিয়েছো গো ? অপূর্ব ! অপূর্ব! আজ মনে হচ্ছে এই রান্নাটা দিয়েই সব ভাত খেয়ে ফেলবো | বড়ো খুশি- আমি | খুব আনন্দ আমার |
আপনারাও খুব খুব আনন্দে থাকুন ,আর অনেক অনেক সুস্থ থাকুন |
Comments