top of page
Writer's pictureKaveri Nandi

চিংড়ি - দিয়ে - কচুর - লতি


কচুর লতি .... খেতে দারুন ! স্বাদে দারুন ! ঔষুধি গুনে দারুন ! যারা যারা কচুর লতি খেতে ভালোবাসেন ,তারাই জানেন খেতে কতো কতো সুন্দর। অনেক অনেক কাল আগে থেকেই আমাদের মা ,ঠাকুমারা জানতেন প্রতিটি সবজিই খাদ্যগুণে ভরপুর। তারা জানতেন সাধারণ যে কোনো খাবার কে কিভাবে অসাধারণ স্বাদে ভরিয়ে তোলা যায়। মানুষের এক প্রিয় মেনুতে পরিণত করা যায়।



কচুর - লতি পেট ভালো রাখতে ,রক্ত পরিশ্রুত করতে ,হার্ট সুস্থ রাখতে ,সুগার নিয়ন্ত্রণে ,শরীরে খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতে আরো আরো নানা স্বাস্থ্য গুন্ বজায় রাখতে অসাধারণ সবজি।তাহলে সবাই বুঝতে পারছেন প্রকৃতির সৃষ্টি সমস্ত শাকসবজিই ভীষণ

ভাবে স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। তাই আমাদের সবাইকে মাঝে মাঝেই নানা শাক সবজি খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে কিছুটা স্বাস্থ্য গুন্ বজায় রাখার চেষ্টা তো করতেই হবে।


আমি আজ দুপুরে কচুর লতির মেনু রেখেছি। ভীষণ মুখরোচক ....চিংড়ি দিয়ে কচুর লতির রান্না। গরম ভাতে এতো ভালো লাগে ,এতো ভালো লাগে যে ,খেতে খেতে মনে হয় শুধু চিংড়ি - কচুর - লতি দিয়েই সব ভাত খেয়ে নেবো। আর কিছু চাই না। কথাটা সত্যিই খুব সত্যি। আমার কিন্তু খেতে খেতে সবসময় তাই মনে হয়।কারণ - কচুর লতি আমার খুবই প্রিয় এক সবজি।


উপকরণ :-


  • কচুর লতি - ১ কেজি

  • চিংড়ি - ৪০০ গ্রাম ( খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে রাখা )

  • পেঁয়াজ - ৪টি ছোট সাইজের ( খোসা ছাড়িয়ে মিহি করে কুচানো )

  • রসুন বাটা - ২ চামচ

  • কাঁচালঙ্কা - ৭-৮টি ( অর্ধেক করে চেরা ,ঝাল কিন্তু নিজের ইচ্ছা মতো )

  • কালোজিরে - ১ থেকে ২ চামচ

  • হলুদ- ২-৩ চামচ

  • নুন -প্রয়োজনমতো

  • চিনি - প্রয়োজনমতো

  • সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো


পদ্ধতি :-


কচুর লতি ভালো করে ছাড়িয়ে নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে রাখলাম। খোসা ছাড়ানো চিংড়ি ভালো করে ধুয়ে নুন ,হলুদ মাখিয়ে নিলাম। গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে জলে ধুয়ে নিয়ে কচুর লতির টুকরো গুলো দিয়ে দিলাম। দিলাম প্রয়োজন মতো জল। বেশি আঁচে একটা ঢাকা দিয়ে কচুর লতি গুলো একটু নরম করে সেদ্ধ করে

নিলাম। খুব বেশি সেদ্ধ হয়ে কচুর লতি খুব বেশি যেন গলে না যায়।ঠিক মতো কচুর লতি সেদ্ধ হয়েছে মনে হতেই ,গ্যাস বন্ধকরে ,কড়াই থেকে জল ঝরিয়ে কচুর লতি তুলে রাখলাম।



এবার কড়াই পরিষ্কার করে গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে অল্প তেল দিলাম। তেল গরম হলেই নুন হলুদ মাখানো চিংড়ি মাছগুলো কড়াইতে দিয়ে একটু সাঁতলে নিলাম। চিঙড়ি মাছ কিন্তু এখানে খুব কড়া করে ভাজা যাবে না।বেশি কড়া হলে রান্নায় মিশে যেতে পারবে না। আর কড়া করে ভাজলে চিংড়ি মাছ একটু শক্তও হয়ে যায়।


এখন কড়াইতে দিলাম প্রয়োজনমতো তেল । তেল গরম হলে আঁচ কমিয়ে দিলাম কালোজিরে আর ২-৩টি কাঁচালংকার টুকরো ,দিলাম পেঁয়াজকুঁচি।আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে পেঁয়াজ নরম করে ভেজে নিয়ে দিলাম রসুনবাটা।


আবার ভালোকরে নেড়েচেড়ে নিয়ে দিলাম ,হলুদ, নুন ,চিনি। একটু নেড়েচেড়ে নিয়ে দিলাম


জল ঝরানো সেদ্ধ কচুর লতির টুকরোগুলো আর সাঁতলে রাখা চিংড়ি মাছগুলো। আঁচ বাড়িয়ে সমস্ত উপকরণ ভালোকরে নাড়তে লাগলাম। রান্না থেকে সুন্দর গন্ধ বের হতেই ,বাকি চেরা কাঁচালংকাগুলো কড়াইতে দিয়ে একটু নেড়ে নিয়ে একটা ঢাকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে কিছুক্ষন রান্না হতে দিলাম।


একটু পরেই ঢাকা খুলে দেখি রান্না মজে গিয়েছে। আঁচ বাড়িয়ে রান্নার স্বাদ দেখে নিয়ে ,রান্নার বাড়তি জলশুকিয়ে রান্না মাখো মাখো করে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিলাম।চিংড়ি দিয়ে মুখরোচক কচুর লতি তৈরি।


আহা ! আহা ! কি সুন্দর খাওয়া। স্বাদে মুখ ভরে গেলো ,প্রাণ জুড়িয়ে গেলো। অনেকদিন বাদে এই রান্নাটা হলো তাই না ?...... সবাই নানা কথা ,নানা আলোচনায় ব্যস্ত। কিন্তু আমার ধ্যান আমার প্রিয় চিংড়ি - কচুর - লতির ....মেনুর দিকে। আজ আমি খাবো গরম গরম ভাত আর চিংড়ি - কচুর - লতির তরকারি। আর কিচ্ছু না। বড়ো সুন্দর ! অপূর্ব ! খুবই ভালো।


ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন , আনন্দে থাকুন।



1 view0 comments

Commentaires


bottom of page