গরমের ছুটি পড়ে গেলো | তিতলি - মিতলীর ইস্কুলে গরমের ছুটি | পুরো এক মাসের ছুটি | তিতলি - মিতলীর বাবা মা ঠিক করে ফেলেছেন ,এই গরমের ছুটির মধ্যে সাত দিন দেশের বাড়িতে ,আর ৭ দিন তিতলি - মিতলীর মামা বাড়িতে কাটিয়ে আসবেন | তিতলি - মিতলী ,ওদের ছোট্ট ভাইটা ,আর ওদের বাবা - মা ও ভীষণ খুশি ,ভীষণই খুশি |কবে তারা বেড়াতে যাবে ? কবে ?........ কবে..............?. কবে ...............?
তিতলি খেয়াল করেছে ,বাবা কিন্তু যখন তখন অকারণে ছুটি নেনই না | মাঝে মাঝে রেস্ট এর দিনটাতে ,এক দিনের জন্য হলেও ঠাকুমা ঠাকুরদাদার সঙ্গে দেখা করে আসেন | কিন্তু প্রায় বছর খানেক তিতলি - মিতলীদের মামা ,মামী ,ঠাকুমা ,ঠাকুরদা ,পিসি ,কাকাদের সঙ্গে দেখাই হয়নি | তাই বাবা একেবারে ঠিক করেই ফেলেছেন ,তাদের নিয়ে দেশের বাড়ি আর মামা বাড়ি ঘুরতে যাবেন | ছুটির ব্যবস্থাও করে ফেলেছেন | কয়েকদিন দেশের বাড়ি ........আর কয়েকটা দিন মামার বাড়ি | তিতলির মনে পড়ে গেলো ,মা তো মাঝে মাঝেই মজা করে একটা ছড়া শোনান ......'' তাই তাই তাই -মামা বাড়ি যাই ,মামা বাড়ি ভারী মজা -কিল চড় নাই ''|
ধীরে ধীরে বেড়াতে যাওয়ার দিন এগিয়ে আসতে লাগলো | মা সবার সব কিছু খুব সুন্দর করে গুছিয়ে নিয়েছেন | তিতলি - মিতলীকে ও বললেন তাদের বই -খাতা ঠিক ঠাক গুছিয়ে নিতে | গরমের ছুটিতে যে ইস্কুলের অনেক কাজ | সব তো ইস্কুল খোলার আগেই শেষ করে ফেলতে হবে ----৩০ পাতা বাংলা লেখা ,৩০ পাতা ইংরাজি লেখা , ৫০ টা যোগ ,বিয়োগ ,গুন্,ভাগের অংক -----উড়ে বাঃবা ! অনেক অনেক কাজ | তিতলি জানে ,সে আর মিতলী কাজগুলো ঠিক শেষ করে ফেলবেই | তাদের প্রিয় বন্ধু তাদের মা যে আছেন!!
তিতলি - মিতলী তাদের বই খাতা গুছিয়ে -গুছিয়ে নিচ্ছে ......এমন সময় বাবা এসে বললেন ,'' তিতলি - মিতলী ,বেড়াতে যাচ্ছ ঠিকই ,তবে রোজ কিন্তু খাতার পাতায় লিখতে হবে ''| পাশ থেকে মা বলে উঠলেন ''একদম ঠিক কথা | তাছাড়া যে কোনো বিষয় ,বুঝে বুঝে একবার লেখা মানে ,১০ বার পড়ার সমান ''| বাবা হাসি হাসি মুখে বললেন ''আমিও তো ওদের এইটাই বলছি ,লেখাতে আছে এক মহাশক্তি | লিখলে ,পড়াটা তো ভালো মতো মনে থাকেই ,তাছাড়া ,বার বার লিখলে হাতের লেখা খুব সুন্দর হয় | বানান শুদ্ধ হয় ,লেখার গতিও বাড়ে ''|তিতলি - মিতলী অবাক হয়ে একবার বাবার দিকে ,একবার মায়ের দিকে চাইতে থাকলো | এবার বাবা ওদের দিকে চেয়ে হেসে ফেললেন ,বললেন '' অবাক হয়ে কি দেখছো ? সব ঠিক ঠাক গুছিয়ে নাও | এত গম্ভীর হয়ে ভাবার কিছু নেই ''| তিতলি - মিতলী কি বুঝলো কে জানে ! আবার বই খাতার গোছানোতে মন দিলো |
অবশেষে সেই দিনটা এসেই গেলো | তিতলি - মিতলীরা চড়ে বসলো রেলগাড়িতে | প্রথম শ্রেণীর এক ছোট কামরা | শুধু তিতলিদের জন্য | সবাই ঠিক ঠাক উঠে পড়তেই ,বাবা কামরার দরজাটা বন্ধ করে দিলেন | গাড়ি চলতে শুরু করেছে , তিতলি -মিতলী তো আনন্দে আত্মহারা ,অবাক হয়ে বড়ো বড়ো চোখে চারিদিক দেখছে ,মনে অনেক প্রশ্ন ,কিন্তু যেন বোবা হয়েই গেছে | দু জনে দুটি জানলার ধারে বসে আছে |''জানলার বাইরে বেশি মুখ বাড়িও না , চোখে মুখে নোংরা কিছু পরে যেতে পারে '', বাবার গলা |
কু - ঝিক - ঝিক .....কু - ঝিক - ঝিক করে আশেপাশের বাড়ি - ঘর গাছপালা সব ফেলে গাড়ি চলেছে তো চলেছেই | মাঝে মধ্যে এক একটা স্টেশনে একটু থামছে | সঙ্গে সঙ্গে শোনা যাচ্ছে কতো মানুষের হাঁক - পাক | কেউ হাঁকছে চা নিয়ে ,কেউ বাদাম নিয়ে ,আবার কেউ কেউ কচি কচি শশা নিয়ে ......আরো কতো কিছু ...আরো আরো ......| তাছাড়া অনেকে গাড়িতে উঠছে ,তো অনেকে নেমে পড়ছে | তিতলির মনে হচ্ছে ,ঠিক যেন সিনেমা দেখছে | কি ভালোই না লাগছে !হঠাৎ মায়ের গলা ,'' অনেক বেলা হলো ,এবার সবাইকে কিছু খেয়ে নিতে হবে ''| মা সবার জন্য খাবার তৈরি করে এনেছেন |এসব দেখতে দেখতে তিতলির কিন্তু একদম ক্ষিধে পায় নি ,তবু ও খেতে তো হবেই !মা তিতলি -মিতলী ,ছোট্ট ভাই ....সবাইকে খাইয়ে - দাইয়ে মুখ হাত পরিষ্কার করে দিলেন | আবার জানলার ধারে ,আবার তিতলি মন দিয়ে দেখছে রেলগাড়ির ছুটে চলা .......|
''ও তিতলি ....তিতলি ...তিতলি ,ওঠ মা ...আমরা এসে পড়েছি | উঠে মোজা জুতো পরে না | এই একটা স্টেশন বাদেই আমরা নামবো ''| জানলা দিয়ে দেখতে দেখতে তিতলি কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিল! মায়ের ডাকে তাড়াতাড়ি উঠে জুতো মোজা পরে নিলো ,মিতলীকেও পরিয়ে দিলো | এদিকে বাবা ,মা সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে নামার জন্য তৈরি |
এসে গেছে দেশের বাড়ির রেল স্টেশন | নামতে গিয়ে দেখে ,দরজার সামনে কতো লোক | কেউ তিতলিকে কোলে তুলে নিলো ,কেউ মিতলীকে , কেউ কেউ নিলো তাদের আনা ব্যাগ বাক্স গুলো | তাদের আসার খবর পেয়ে ,তাদের নিতেই সবাই স্টেশনে এসেছে | এখন সবাই মিলে আনন্দ -গল্প করতে করতে দেশের বাড়ির দিকে এগিয়ে চললো | কি সুন্দর তিতলিদের দেশের বাড়ি | তিতলির পড়ার বইয়ের ছবিটার মতন | মাঝখানে একটা বড়ো
ফাঁকা জায়গা , সেখানে একটা খুব সুন্দর তুলসীমঞ্চ | বড়ো জায়গাটাকে ঘিরে চারিদিকে একটু ফাঁকা ফাঁকা ভাবে ,টালির ছাদ দেওয়া ,অনেকগুলো মাটির বাড়ি |বেশ উঁচু উঁচু | মাটির ধাপ করা রয়েছে | মনে হচ্ছে কে যেন সুন্দর করে মুছে রেখেছে |তিতলির তো ভীষণ ভালো লাগছে | চারিদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে শুধু দেখছে আর দেখছে | এদিকে ঠাকুমা ,ঠাকুরদা ,কাকা পিসিরা তো তাদের পেয়ে ভীষণ ভীষণ খুশি | বাড়ির সবার চোখে জল ,তিতলির মনে হলো অনেক আনন্দেই এই চোখের জল |
অনেকটা জায়গা নিয়ে দেশের বাড়ি | আম গাছ ,জাম গাছ ,লিচু গাছ ,জামরুল গাছ ,পেয়ারা গাছ ,কলা গাছ ......কতো কতো গাছে ভরা |আর কতো পাখির কিচি মিচি ডাক | একটা গোয়াল ঘর ও রয়েছে | রয়েছে একটা সাদা আর একটা লাল রঙের গরু | এর মধ্যেই
সন্ধ্যে হয়ে গেলো | তুলসীমঞ্চে প্রদীপ জ্বলছে | বাড়িতে ইলেকট্রিক আলো নেই | হ্যারিকেনের আলো | রাতে চাঁদের আলো গাছের পাতার মধ্যে দিয়ে সারা বাড়ি আর বড়ো ফাঁকা জায়গাটায় ছড়িয়ে পড়েছে | তিতলির কেমন ভয় ভয় করছে আবার খুব মজা ও লাগছে ,ভালো ও লাগছে |
মা বলেছে ...'' এই যে বড়ো জায়গাটা দেখছিস ,এটা বাড়ির উঠোন ,আর প্রতিটি বাড়ির উঁচু উঁচু জায়গাগুলো কে বলে দাওয়া | খুব সুন্দর ! তাই না রে ''? মিতলী কিছু না বললেও ,তিতলি বড়ো বড়ো করে ঘাড় নেড়ে মা কে তাড়াতাড়ি বুঝিয়ে দিলো যে সে স ....ব বুঝতে পেরেছে | মা কে এতো খুশি খুশি দেখে তিতলি যে বেজায় বেজায় খুশি | মায়ের খুশি মানেই তো তাদের ও খুশি | রাতে হ্যারিকেনের আলোতে দাওয়ার উপর পিঁড়িতে বসে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ হলো | সব কিছুই তিতলির দারুন লাগছে ,খুব ভালো লাগছে আর তাই তো অনেক আনন্দ নিয়েই ঘুমিয়ে পড়লো ,গভীর ঘুমে..................গভীর ঘুমে |
পরের দিন ঘুমও ভাঙলো অনেক আনন্দ নিয়ে | সকালে জলখাবারের পরেই মা তিতলি - মিতলী কে দিয়ে ইস্কুলের অনেক কাজ করিয়ে নিলেন | পড়া শেষে শুধুই খেলা আর খেলা | এ দাওয়া থেকে ও দাওয়া ,আবার ও দাওয়া থেকে এ দাওয়া | দুপুরে খাওয়া শেষে তিতলি - মিতলী পিসির সঙ্গে আম গাছের নিচে শীতল পাটিতে শুয়ে শুয়ে, পিঠে সুড়সুড়ি খেতে খেতে আর অনেক মজার মজার গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লো | ঘুম ভাঙতেই দেখে পাড়া থেকে অনেকে তাদের দেখতে এসেছে | সবার আদর খেতে খেতে আর আম জাম খেতে খেতে কখন যেনো বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে এলো |হ্যারিকেনের আলোতেই কাকা -পিসিরা পড়াশোনা শুরু করে দিলো | মা রান্নাঘরে ঢোকার আগে তিতলি - মিতলীকে বললেন ''তোরাও ওদের পাশে বসে কয়েকটা অঙ্ক করে রাখ না ''| তিতলি - মিতলী তো সঙ্গে সঙ্গে রাজি |হ্যারিকেনের আলোতে পড়াশোনা ! যেনো ভারী মজার এক কাজ !তাই মায়ের কথাতে সঙ্গে সঙ্গেই খুব মন দিয়েই অঙ্ক কষা শুরু করে দিলো |আবার রাতের খাওয়া দাওয়া ,আর আবার অনেক অনেক আরামে সুন্দর ঘুম | গাছের নিচে মাটির ঘরগুলো গরমেও যেন বেশ শীতল শীতল ! আরাম আরাম !!
এ ভাবেই সাত টা দিন কোথা দিয়ে কেটে গেলো ,কেউ যেন বুঝতেই পারলো না | এখন তিতলিরা.... ,তিতলির মামার বাড়িতে | মামার কোয়ার্টার টাও খুব সুন্দর |অনেক বড়ো বারান্দা আর বড়ো উঠোন নিয়ে মামার বাড়ির রেল কোয়ার্টার | চারিদিকে সুন্দর বাগান দিয়ে ঘেরা | এখানেও বাগানের একদিকে পরিষ্কার ঝকঝকে একটা গোয়াল |
সেখানে সুন্দর এক সাদা গরু | বাড়িতে ঢুকতেই তিতলি দেখলো উঠোনের একদিকে ,দুটো ছাগলছানা নিয়ে একটা মা ছাগল বসে আছে | তারের জালে ঘেরা একটা ছোট্ট বাড়ি | তারমধ্যে ২-৩টে খরগোশ | আর একটু উপরে ঝুলছে ২-৩টে টিয়া পাখির খাঁচা |
এসব দেখতে দেখতে তিতলি - মিতলী তো ভীষণই অবাক | কোনদিকে দেখবে বুঝতেই পারছে না | দু জনেই খরগোশের খাঁচার সামনে বসে পরে অবাক হয়ে খাঁচার দিকে তাকিয়ে রয়েছে |এদিকে ওদের দেখে তো মামাবাড়িতে
বিশাল হৈ - চৈ পরে গেছে | সবাই যেন আনন্দে অবাক ! আহল্লাদে একেবারে আটখানা | দিদা
,মামা ,মামী ,দাদা, দিদিরা সবাই তাদের নিয়ে খুব আনন্দ করতে লাগলো | মামীর হাতের দারুন ! দারুন ! রান্না খেয়ে
আর দাদা দিদিদের সঙ্গে মজা করতে করতে তিতলি - মিতলীর দিনগুলো খুব ভালোই কেটে যাচ্ছিলো |তবে সবচেয়ে মজা হয়েছে মামাবাড়ির বাগানে পিকনিকের দিনে ,যখন সব্বাই মিলে রান্নাবান্না করে একসঙ্গে খেলো কলাপাতায় গরম গরম খিচুড়ি ,বেগুনভাজা ,বাঁধাকপির তরকারি ,চাটনি ,পাঁপরভাজা আর রসগোল্লা | তবে --সব্বার এতো এতো খুশিতে ,তিতলির খুশি যেনো আর ধরে না ! তিতলি কি সবচেয়ে খুশি ? ....ঠিক তাই ....সবার আনন্দে ,সেই যে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পায়| তার ছোট্ট মন টা যে সব সময়েই ভাবে .....সব্বাই -সব্বাই খুব - খুব ভালো থাকুক |
অনেকদিন বাদে তিতলিরা মামাবাড়ি বেড়াতে এসেছে | এই আনন্দে মামারবাড়িতে আজ সন্ধ্যায় কীর্তন আর হরির লুঠের আসর | হরির লুঠ ! তিতলি অবাক হয়ে মায়ের দিকে তাকাতেই ,মা বলে উঠলেন,''সন্ধ্যায় এখানে ঠাকুরের নাম করার পর বাতাসা ছড়িয়ে দেওয়া হবে ,আর সেই প্রসাদ বাতাসা সবাইকে কুড়িয়ে নিয়ে ,প্রণাম করে খেলে সব্বার ভালো হবে আর এটাই হলো হরির লুঠ ''| সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বলার সঙ্গে সঙ্গে ....হরে - কৃষ্ণ -হরে - কৃষ্ণ ....এক মধুর ধ্বনিতে মামাবাড়ির উঠোন ভরে উঠলো | এটাই কীর্তন ? কীর্তনের সুরে তিতলির ছোট্ট মনটা খুশিতে ভরে গেলো | আনন্দে চোখে জল এসে গেলো | এমন মধুর আওয়াজ ,যা তিতলির ছোট্ট মনটাকেও ছুঁয়ে গেছে |হঠাৎ তিতলি খেয়াল করলো তার পায়ের কাছে
এসে পড়েছে কয়েকটা বাতাসা | সবাই হুড়োহুড়ি করে বাতাসা কুড়োচ্ছে | তিতলি ও জামার কোঁচড়ে কয়েকটা বাতাসা কুড়িয়ে নিলো | ছুট্টে গিয়ে আগে একটা বাতাসা দিলো দিদাকে আর একটা মিতলীকে তারপর সবাইকে .....| যারা কীর্তন করতে করতে এসেছিলেন ,তারা হরির লুঠ হওয়ার পর কীর্তন করতে করতেই বেরিয়ে গেলেন | সবাই হরির লুঠের আনন্দে বিভোর | ছোট্ট তিতলির মনে হচ্ছিলো হরে - কৃষ্ণ
- হরে - কৃষ্ণ যেনো কানে বেজেই চলেছে.........
আজ তিতলিদের বাড়ি ফেরার দিন | অনেকেই তাদের রেলগাড়িতে তুলে দিতে এসেছেন | সবার চোখে জল | তিতলির চোখেও জল |গাড়ি চলতে শুরু করেছে | আবার তিতলি জানলার ধারে | বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ-ই তিতলির নিজেদের ছোট্ট কোয়ার্টার টা কথা মনে পরে গেলো | যাহঃ ! ক - দিন ,তো ভুলেই গেছিলো !মনে হলো তাদের ছোট্ট বাড়িটাও তো খুব সুন্দর | সেখানে বাবা ,মা ,তিতলি ,মিতলী আর ছোট্ট ভাইটা | সবাই মিলে কত আনন্দ ! আর তিতলি-মিতলীর ইশকুল টা ও তো খুবই সুন্দর ! আর ইস্কুলের বন্ধুরা ...........ভাবতে ভাবতে খুশি খুশি মনে তিতলি ঘুমিয়ে পড়লো ........ ... আর রেলগাড়ি ?.....কু - ঝিক - ঝিক ,কু - ঝিক - ঝিক করে তিতলিদের বাড়ির দিকে এগিয়ে চললো .................ছোট্ট কোয়ার্টারটার দিকে........... | তবে একটা কথা কিন্তু ঠিক , শত আনন্দের মাঝেও তিতলি-মিতলীর গরমের ছুটির কাজ কিন্তু প্রা...........য় বলতে গেলে শেষের দিকেই ..................................................
Comments