গ্রীষ্ম - বর্ষা আম - কাঁঠালের সময় | আমরা সব্বাই যেমন আমি খেতে খুব ভালোবাসি | তেমনি অনেকে কাঁঠাল খেতেও খুবই পছন্দ করি | অপেক্ষা করে থাকি এই সময়ের এই ফলটার জন্য | খুব সুস্বাদু ! !মানে দারুন টেস্টি টেস্টি | তবে শুধু মাত্র খেতে যে সুন্দর , তা নয় কিন্তু , খাদ্যগুণেও ঠাসা | কিন্তু !!কিন্তু সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় এই যে কাঁঠাল ফলটির বীজের খাদ্যগুন যদি আমরা সম্পূর্ণ ভাবে জানতে পারি , তো আমরা রোজ কাঁঠালবীজকে
আমাদের খাবার পাতে রাখতে চাইবো | নানা নানা ধরণের ভিটামিন , মিনারেলস , আয়রন আর এন্টিঅক্সিডেন্টে ভর..........পুর | | খাও আর ইমিউনিটি বাড়াও , স্ট্রেংথ বাড়াও | ভালো থাকো , সুস্থ থাকো |
তবে রোজ তো সম্ভব নয় !! তাই সিজিনের সময়ে মাঝে মধ্যে কাঁঠাল বীজের মেনু পাতে পাতে এসে পৌঁছালে , আমাদেরই ভালো , আমাদেরই লাভ !! আমি তো কাঁঠাল বীজের তরকারি খেতে খুবই ভালোবাসি | নানা ভাবে রান্নাও করি | বাড়ির সবাই তো ভীষণ ভীষণ আনন্দ করে জমিয়ে জমিয়ে খায় | আজ আমার রান্নাঘরে আমি আবার রেখেছি কাঁঠাল বীজের মেনু | কাঁঠালবীজ -ভাতে (Kanthal - Bichir - Bhaate) | তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই !! এটা ঠিক যে , খুবই হালকা পুলকা একটা মেনু | কিন্তু খেতে ? খেতে মনে হবে অসা.......ধারণ !! স্বাদে মুখ ভরে উঠবে | গরম ভাতে প্রথম পাত জমবেই জমবে !! মন চাইবে আরো একবার খাই !! আরো একবার ......
উপকরণ :-
কাঁঠালবীজ - ২০০ গ্রাম
কাঁচালঙ্কা - ২-৩টি
নুন - প্রয়োজনমতো
সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো
আর কাঁঠালবীজ সেদ্ধ করার জন্য খানিকটা ভাতের ফ্যান , মানে ভাতের মাড়
পদ্ধতি :-
কাঁঠালবীজগুলো ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে , জলে ধুয়ে রেখে দিলাম | ভাত হয়ে গেলে ২-৩ কাপ মতো ভাতের মাড় প্রেসার কুকারে ঢেলে নিলাম | তারপর ভাত উপুড় দিলাম | এইবার কুকারের মধ্যে ধুয়ে রাখা কাঁঠাল বীজ গুলো দিয়ে দিলাম | কুকারের মুখ বন্ধ করে দিলাম | মাঝারি আঁচে প্রেসার গ্যাসে বসালাম | ১০ - ১২টা সিটি বাজার পর গ্যাস বন্ধ করে দিলাম আর প্রেসার ঠান্ডা হতে দিলাম |
একে একে সব রান্না শেষ হলো | সবার শেষে জুৎ করে কাঁঠালবীজ ভাতে মেখে ফেললাম | প্রেসারের ঢাকা খুলে , ফ্যান ঝরিয়ে সেদ্ধ কাঁঠাল বীজ গুলো একটা পাত্রে নিয়ে নিলাম | অল্প অল্প গরম রয়েছে | পাত্রের মধ্যে বীজগুলো হাত দিতে চেপে চেপে মেখে নিতে লাগলাম | সব বীজগুলো নরম মতো মাখা হয়ে গেলে , দিলাম
প্রয়োজনমতো তেল , নুন আর কাঁচালঙ্কা | সমস্ত মিশ্রণ ভালো করে মিশিয়ে নিতে লাগলাম | নুন , তেল , কাঁচালঙ্কা দিয়ে সুন্দর করে কাঁঠালবীজ মেখে নিয়ে একটু চেখে নিলাম | ওঃ !! কি দারুন লাগছে !! সব নিয়ে খুশি খুশি মনে খাবার টেবিলের দিকে এগিয়ে গেলাম | সেখানে যেনো সবাই আমারই প্রতিক্ষায় !!
সবার পাতে পাতে দিলাম গরম গরম ভাত , আর সুন্দর করে মাখা কাঁঠাল বীজ ভাতে () | ভাতে দিয়ে ভাত মেখে ......মুখে দিয়ে সবার মুখ থেকে এলো একটাই আওয়াজ ..........ওহ হো হো হো ....কি দারুন !!! খাওয়ার আনন্দ মনের আনন্দ মিশে একাকার | আনন্দে আনন্দে খাওয়া এগিয়ে চললো .....
ভালো থাকুন | ভালো খান | সুস্থ থাকুন | থাকুন অনেক অনেক আনন্দে |
Comments