এখন মানুষ জনের নিজের সম্বন্ধে সচেতনতা বোধ অনেক অনেক বেড়ে গেছে | আর এই সচেতনতা অবশ্যই শরীর নিয়ে | শরীর থাকবে কিভাবে সুস্থ আর ভালো এর জন্য তারা নানা রকম ভাবে চেষ্টা করে চলেছে | তার মধ্যে একটা অবশ্যই খাওয়া দাওয়া নিয়ে |
প্রতিদিনের এই ব্যস্তময় জীবনে, পরিবারকে কিভাবে সুস্বাদু-পুষ্টিকর খাবার খাওয়াবো........এই ভাবনাটা যেন আমাদের, গৃহিণীদের নিজের সঙ্গে নিজের প্রতিযোগিতা | আজ আমিও চিন্তা করতে করতে ভাবলাম আজ জল খাবারে রাঁধবো সোয়াবিনের তরকারি | রুটির বা পরোটার সঙ্গে দারুন লাগবে |
সয়াবিন প্রোটিনে ভরপুর | শুধু তাই নয়, এর অনেক অনেক উপকারী দিকও আছে | হারের ভঙুরটা দূর করতে, পাচনতন্ত্রের কাজ ঠিক করতে, কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এর জুড়ি মেলা ভার | তাই শরীর ঠিক রাখতে, ছোট বড় সবারই সয়াবিন দিয়ে তৈরী নানা পদ খাওয়া উচিত |
রান্নাটা শুরু করছি.........
উপকরণ :-
সয়াবিনের বড়ি - ২ কাপ
আলু - ৩,৪টি মাঝারি সাইজের (খোসা ছাড়িয়ে ডুমো ডুমো করে কাটা)
পেঁয়াজ - ২,৩টি ছোট সাইজের (কুচানো)
টমেটো - ১টি ছোট সাইজের (কুচানো)
আদা বাটা - ১ চামচ
রসুন বাটা - ১ চামচ
কাঁচা লঙ্কা বাটা - ১ চামচ
হলুদ - ১/২ থেকে ১ চামচ
জিরে গুঁড়ো - ৩ থেকে ৪ চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো - ১ থেকে ২ চামচ
সর্ষের তেল - প্রয়োজন মতো
চিনি - সামান্য
নূন - প্রয়োজন মতো
গরম মশলা - ১/২ চামচ
ঘি - ১ থেকে ১.৫ চামচ
পদ্ধতি :-
গ্যাসে কড়াই গরম করে ৪,৫ কাপ জল দিলাম | জল ফুটতে শুরু করলে, সামান্য নূন দিয়ে সয়াবিনের বড়ি গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিলাম | ৩,৪ মিনিট বাদে গ্যাস বন্ধ করে সোয়া গুলো গরম জল থেকে তুলে একটা পাত্রে রেখে, ঠান্ডা জলে কয়েকবার ধুয়ে নিলাম আর চিপে চিপে সোয়া থেকে জল বার করে দিলাম |
আবার গ্যাসে কড়াই গরম করে তেল দিলাম | তেল গরম হলে জলে ধোয়া আলু গুলো কড়াইতে দিলাম | এক চিমটে নূন দিয়ে আলু রাঙা করে ভেজে তুলে রাখলাম | কড়াইতে ওই তেলেই অল্প একটু তেল দিয়ে সোয়া গুলো ভালো করে ভেজে নিলাম |
এবার কড়াই পরিষ্কার করে গ্যাস চাপিয়ে তেল দিলাম | তেল গরমের হলে দিলাম পেঁয়াজ কুচি গুলো | পেঁয়াজ ভাজতে ভাজতে একটু নরম হলে, দিলাম কাঁচা লঙ্কা বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা | সমস্ত উপকরণ ভালো করে কষতে লাগলাম |
মশলা একটু ভাজা ভাজা হলে, আঁচ কমিয়ে দিলাম, ভাজা আলু, হলুদ, নূন, চিনি, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে দু একবার কষে নিয়ে দিলাম, হালকা করে ভাজা সয়াবিনের বড়ি গুলো |
এবার ভালো করে কষে নিয়ে, তরকারিটা মাখো মাখো হবার মতো জল কড়াইতে দিলাম | জল ফুটে উঠলে, আঁচ কমিয়ে একটা ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষন রান্না হতে দিলাম | আলু সুস্বিদ্ধ হলে, রান্নার স্বাদ দেখে নিয়ে, আঁচ বাড়িয়ে, রান্না মাখো মাখো করে নিলাম |
আঁচ কমিয়ে দিলাম ঘি আর গরম মশলা | একটু নেড়ে গ্যাস বন্ধ করে দিলাম | টেবিলে সবার কাছে কাছে জলখাবারের থালা পৌছে গেলো | কিছুক্ষন পরে হঠাৎ টেবিল থেকে আওয়াজ...........এযে একেবারে মাংসর মতো |
এই আওয়াজই কিন্তু আমার আনন্দ, আমার কাজের ইন্ধন | সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন |
Σχόλια