top of page

সজনে - ফুলের - বড়া

ফাগুন চৈত্রে - না ,না কোরোনা ভুল ,
খেতে হবেই হবে -- সজনের ফুল |

সজনের ফুল - নামটা বোধহয় সব বাঙালিরই চেনা জানা | শীতের শেষ আর গরমের শুরু, এই সময় ঠান্ডা গরমের পরিবর্তনের কারণে মানুষজন নানা রোগে আক্রান্ত হয় | হাম ,পক্সের মতো রোগ গুলির প্রভাব এই সময়েই বেশি বেড়ে যায় | আর এই রোগ গুলিরই বিশেষ মহা ঔষধ এই সজনের ফুল |


এখন গ্রামে গঞ্জের পথ গুলো দিয়ে দু পা হাঁটলেই ,পথের দু-ধারে ,কুঁড়ে ঘরগুলোর উঠানে উঠানে ,মাঠে -ঘাটে,পুকুরের পাড়ে পাড়ে দেখা যাবে ,সাদা ছোট ছোট ফুলে ভরা অজস্র সজনের গাছ | সরু সরু ডালের লম্বা লম্বা গাছগুলোতে পাতা দেখা যায় না ,শুধু সাদা সাদা সজনের ফুলে ভরা | অপূর্ব দেখতে লাগে | মনে হয় প্রকৃতি যেন সাদা ফুলের তোড়ায় তোড়ায় চারিদিক সাজিয়ে দিয়েছে | কিছু ফুল ঝরে গাছের নিচে ছড়িয়ে রয়েছে | মনোরম দৃশ্য ..................


গ্রামের মানুষজনের কাছে সজনের ফুল খুবই প্রিয়| তাদের রান্নাঘরে যেন প্রকৃতির দেওয়া এক বিশেষ দান| কেউ কেউ আঁকশি দিয়ে সজনের ফুল পাড়ে ,কেউ কেউ গাছের তলা থেকে কুড়িয়ে কোঁচড়ে ভরে নেয় | এখন শহরের বাজারগুলোতেও সুন্দর করে ছাড়ানো ,পরিষ্কার করা প্রচুর সজনের ফুল বিক্রি হয় | প্রায় প্রত্যেকের বাজারের থলিতেই কোনো না কোনো দিন জায়গা করে নেয় আমাদের সবার প্রিয় সজনের ফুল |আজ আমার থলিতেও আমার প্রিয় ,আমাদের পরিবারের সবার প্রিয় ....সজনের ফুল | জমিয়ে খাবো | আজ থাকবে দুপুরের গরম ভাতের প্রথম পাতে " সজনের ফুলের মুখরোচক বড়া |"


উপকরণ:-

  • সজনের ফুল - ২৫০ গ্রাম ( পরিষ্কার করে ছাড়ানো )

  • কাঁচালঙ্কা - ৬-৭টি ( কুচানো )

  • বেসন - প্রয়োজনমতো

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • চিনি - প্রয়োজনমতো ( অবশ্যই লাগবে )

  • সর্ষের তেল বা সাদা তেল -বড়া ভাজার মতো


পদ্বতি :-


সজনের ফুল গুলো জলে ধুয়ে ,জল ঝরিয়ে একটা পাত্রে রেখে দিলাম | ফুলগুলোর মধ্যে দিলাম প্রয়োজনমতো নুন ,প্রয়োজনমতো চিনি আর কুচানো কাঁচালংকাগুলো | সমস্ত উপকরণ ভালো করে

মিশিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিলাম |এরপর সামান্য, মানে প্রয়োজন অনুযায়ী বেসন দিয়ে মেখে মিশ্রণ একটু মাখো মাখো করে নিলাম| গ্যাসে ,যে তাওয়ায় রুটি করি ,সেই তাওয়া চাপালাম | বড়া ভাজার মতো তেল তাওয়ার উপর ছড়িয়ে দিলাম | তেল গরম হলে আঁচ কমিয়ে সজনেফুলের মাখা মিশ্রণ বড়ার আকারে তাওয়ার উপর ৩-৪টি করে বসিয়ে দিলাম | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে প্রতিটি বড়ার এপিঠ ওপিঠ কড়া করে ভেজে তুলে রাখলাম | এইভাবে সমস্ত সজনেফুলের মিশ্রণ থেকে বড়া তৈরি করে ফেললাম |


এবার আমরা সবাই মিলে জমিয়ে সজনের ফুলের গরম গরম বড়া ভাজা দিয়ে ,দুপুরের প্রথম পাতের খাওয়া শুরু করলাম | সত্যিই অপূর্ব | বাড়ির সবার কথা ,মাঝে মাঝেই খাওয়াতে হবে কিন্তু | একবার নিজে তৈরি করে খেলেই বুঝতেই পারবেন, কি অপূর্ব ! কি সুন্দর ! আর কত মুখরোচক | খুব ভালো লাগবে |


ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন , অনেক অনেক আনন্দে থাকুন |


4 views0 comments

Kommentare


bottom of page