top of page
Writer's pictureKaveri Nandi

টেস্টি - টেস্টি - ছাতু - মাখা


টেস্টি টেস্টি ছাতু মাখা ..........গরম গরম ভাতের সঙ্গে বা ভেজা ভাতের সঙ্গে অসাধারণ ! শুধু অসাধারণই নয় ,খেতে ভীষণ ভীষণ স্বাদের আর খুব ভালো । একবার খেলে বার বারই খেতে ইচ্ছে করবে।



গরমের দাবদাহ যখন অসহ্য ,ঘাম ঝরে ঝরে মানুষ যখন ক্লান্ত। তখন খাবার হিসাবে একটু ছাতু ,শরীরের অনেক ক্লান্তি দূর করে দেয়,দূর করে দাবদাহের প্রভাব।গরমকালে রাস্তায় বেরোলেই দেখতে পাই ,ছাতুর শরবতের দোকান। গরমে ঘুরে ঘুরে কাজ করা মানুষজন এক গ্লাস শরবত খাবেই খাবে। কেউ কেউ একটু ছায়াতে বসে দুপুরের খাবার শেষ করে ,খুব তৃপ্তির সঙ্গে ছাতু মাখা খেয়ে। আবার অনেক খেটে খাওয়া মানুষ দুপুরে খাবার খায় ,জলে ভেজা ভাত , ছাতু ,নুন ,পেঁয়াজ আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে। বড়ো স্বাদের খাবার ,স্বস্তির খাবার।


আমরা কেউ কেউ বাড়িতে জলখাবারে নানাভাবে ছাতু খাই। কেউ আবার গরমে আরাম পেতে টেস্টি টেস্টি ছাতুর শরবত খাই। আজ ভীষণ গরম। কেমন গুমোট গুমোট ভাব। একদম হাওয়া নেই। বাড়ির কারোরই রাতে কোনো মশলাদার খাবার ইচ্ছে নেই। ভাবলাম জলে ভেজা ভাতের সঙ্গে ছাতু মেখে দেব। সবার নিশ্চয় ভালো লাগবে ,আবার স্বস্তিও লাগবে।


রাতে একটু তাড়াতাড়ি ভাত রেঁধে ঠান্ডা করে নিলাম। ঠান্ডা হয়ে গেলে ভাত জলে ভিজিয়ে দিলাম।রাতে খাওয়ার আগে ছাতু মাখতে শুরু করলাম।


উপকরণ :-


  • ছোলার ছাতু - ২ কাপ মতন

  • পেঁয়াজ - ২টি ছোট সাইজের( খোসা ছাড়িয়ে মিহি করে কুচানো )

  • কাঁচালঙ্কা - ৩-৪টি ( মিহি করে কুচানো )

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো

  • আর অবশ্যই জল ( নিজের প্রয়োজনমতো )


পদ্ধতি :-



একটা পাত্র নিলাম। পাত্রের মধ্যে নিলাম ছাতু ,কুচানো পেঁয়াজ ,কুচানো কাঁচালঙ্কা ,নুন আর প্রয়োজনমতো সর্ষের তেল। সমস্ত উপকরণ হাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে লাগলাম। মিশ্রণ ভালো ভাবে মিশে গেলে ,প্রয়োজনমতো জল দিয়ে ছাতু মাখা তৈরি করে নিলাম। ছাতু মাখার স্বাদ দেখে নিলাম। বাঃ! বেশ .....ভালো লাগছে। স্বাদ একেবারে ঠিকঠাক।



আমি কি ব্যবস্থা করেছি ,বাড়ির কেউ জানেই না। রাতে খাবার টেবিলে সবাইকে ডাক দিলাম। সবাই এলো। কিন্তু কারোর মুখই খুশি খুশি নয়। সবাই বেচারা !কি করবে ? গরমে ক্লান্ত। তাড়াতাড়ি সবার সামনে নামিয়ে দিলাম ,খাবার থালাতে একটু করে জলে ভেজা ভাত আর ২-৩ চামচ করে ছাতু মাখা। সবার ক্লান্ত মুখগুলো যেন শান্তিতে ভরে উঠলো। সবাই আমার দিকে খুশি ভরা ঝলমল চোখে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো, তারপর চুপচাপ খাওয়া দাওয়া। এই শান্তি টুকুর জন্যই তো একটু চেষ্টা আর অনেক ভালোলাগা।


ভালো থাকবেন ,সবসময়ে সুস্থ থাকবেন ,অনেক অনেক আনন্দে থাকবেন।





90 views0 comments

Comments


bottom of page