প্রচন্ড গরমে সবসময়েই মশলাদার খাবার কিন্তু ভালো লাগে না | মাঝেমাঝেই মনে হয়ে একটু হালকা করে যদি মাছ-মাংস খাওয়া যেত, তবে খুব ভালো হতো | আমরা যারা রান্নাবান্না করি, আমরাও কিন্তু চেষ্টা করি অল্প উপকরণে, একটু হালকা উপকরণে, অথচ স্বাদে যেকোনো পদ তৈরী করতে | তবে মশলাদার মেনু বা অল্প মশলার মেনু যাই হোক না কেন, একটু স্বাদের রান্না হলেই খাওয়ার টেবিল জমে যায় | আজকে আমার হালকা মেনু ------ একটু পেঁয়াজ ভাজায় রুই-কাতলা | বাজার থেকে কেনা টাটকা মাছ দিয়ে এই রান্না খেতে তো খুবই ভালো লাগে | তবে একটা কথা বলা যেতে পারে, অনেক সময়ে দেখা যায় আমাদের ফ্রিজে রয়েছে ২-৩ দিন আগের রুই বা কাতলা মাছের কয়েকটা পিস্ | আর সেই মাছের পিস্ গুলো দিয়ে আমার এই মেনুটি রান্না করলেও কিন্তু অসাধারণ লাগে | তাহলে এখন রান্না শুরু করি ?
উপকরণ :-
মাছ - ৪ পিস্
পেঁয়াজ - ৩টি মাঝারি সাইজের মিহি করে কুচানো
কাঁচা লঙ্কা - ৩ থেকে ৪টি অর্ধেক করে চেরা
পাঁচ ফোড়ন - ১/৪ চামচ
হলুদ - ১ চামচ থেকে ১.৫ চামচ
নূন - প্রয়োজন মতো
সর্ষের তেল - প্রয়োজন মতো
পদ্ধতি :-
মাছ ভালো করে ধুয়ে নূন হলুদ মাখিয়ে রাখলাম | গ্যাসে কড়াই গরম করে তেল দিলাম|
তেল গরম হলে মাছের পিস্ গুলো একটু কড়া করে ভেজে তুলে রাখলাম | এবার কড়াইয়ের তেলের মধ্যেই আর একটু তেল দিয়ে, দিলাম পাঁচ ফোড়ন, ৪ পিস্ অর্ধেক চেরা কাঁচা লঙ্কা ও কুচানো পেঁয়াজ গুলো |
আঁচ বাড়িয়ে কয়েকবার ভালো করে নেড়ে নিয়ে দিলাম হলুদ আর নূন | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে পেঁয়াজ গুলো ভাজতে লাগলাম | পেঁয়াজ গুলো নরম আর ভাজা ভাজা হয়ে এলেই, আঁচ বাড়িয়ে ১/২ কাপ জল দিলাম |
রসা ফুটে উঠলে মাছের পিস্ গুলো কড়াইতে পেঁয়াজের মধ্যে বসিয়ে দিলাম | আঁচ বাড়ানো থাকলো, কিছুক্ষন বাদে মাছের টুকরো গুলো উল্টে দিলাম | এইভাবে দু একবার করার পর আরো অর্ধেক ৪ পিস্ কাঁচা লংকার টুকরো কড়াইতে দিয়ে দিলাম |
উপকরণ থেকে তেল বার হতে শুরু করলে আর পেঁয়াজ ও মাছ গায়ে গায়ে হয়ে এলে, রান্নার স্বাদ দেখে গ্যাস বন্ধ করে দিলাম | আমার খাওয়ার টেবিলে আজ ---- গরম ডাল, গরম ভাত আর গরম গরম পেঁয়াজে ভাজা মাছ | অসাধারণ........অসাধারণ !!!
রান্না করুন, খেয়ে দেখুন, খাওয়ার রুচি কিন্তু বেড়ে যাবে | অবশ্যই ভাল থাকুন আর সুস্থ থাকুন |
Comments