top of page
Writer's pictureKaveri Nandi

পনিরের - সর্ষে - ঝাল


চা - জলখাবারের টেবিল বেশ জমে উঠেছে। আজ ছুটির দিন। অনেকেরই কাজ খুব কম। জমিয়ে গপ্পো - সপ্পো হচ্ছে। আমার খুবই ভালো লাগছে। হঠাত ভাবলাম ...আজকের দুপুরের রান্নাটা তো ভাবতে হবে। ফ্রিজ খুলে চোখে পড়লো একটা পনিরের প্যাকেট। ওরে বাবাঃ এক্সপিয়ারী ডেট টা চলে যায়নি তো। তাড়াতাড়ি হাতে নিয়ে দেখি .... নাঃ, নিশ্চিন্ত হলাম। এখনো ৬-৭ দিন দেরি আছে। আর

দেরি নয়। আজই রান্না করে ফেলবো।


প্যাকেটটা বার করতে করতেই ২-১ জন বলে উঠলো ...আজ পনির রাঁধবে ? শুধু পনির রাঁধো । খুব ভালো লাগে। .......কিন্তু পনির যে খুব অল্প ! ...সবাই বললো তাতে কি হয়েছে ? ১ চামচ করেই খাবো।


সবার কথায় মন ভরে গেলো। ভাবলাম যদি সর্ষে দিয়ে পনিরটা রাঁধি ,তবে আচারের মতো গরম ভাতে অল্প পনির সর্ষেই জমে উঠবে। সবার ইচ্ছাই তো আমার ইচ্ছা। ভাবতে ভাবতে ২-৩ চামচ মতো গোটা সর্ষে জলে ভিজিয়ে দিলাম।পনিরের প্যাকেট খুলে টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়ে রান্নাঘরে ঢুকে গেলাম।এবার শুরু আমার দুপুরের রান্নার মেলা ..........


উপকরণ :-


  • পনির - ১ প্যাকেট ( ২০০ গ্রাম ,টুকরো টুকরো করে কাটা )

  • গোটা সর্ষে - ছোট চামচের ২-৩ চামচ ( ভেজানো জল থেকে তুলে ২-১টা কাঁচালঙ্কা দিয়ে মিহি করে বাটা )

  • কাঁচালঙ্কা - ৭-৮টি ( নিজের নিজের পছন্দ মতো )

  • হলুদ - ১চামচ মতো

  • লাল লঙ্কা গুঁড়ো - ১ চামচ মতো

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • চিনি - প্রয়োজনমতো

  • সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো


পদ্ধতি :-


প্রথমেই বাটা সর্ষের মধ্যে দিলাম অল্প জল ,হলুদ ,লাল লঙ্কাগুঁড়ো ,নুন আর কয়েকদানা চিনি।

ভালো করে নেড়ে নিয়ে মিশ্রণটা রেখে দিলাম। আমিষ মেনুর রান্না শেষ করেই পনির সর্ষে রান্নাটা শুরু করে দিলাম।

গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে প্রয়োজনমতো তেল দিলাম। তেল গরম হলে আঁচ কমিয়ে কাটা পনিরের টুকরোগুলো কড়াইতে দিয়ে দিলাম। আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে হালকা করে পনিরের টুকরো গুলো ভাজতে লাগলাম।পনিরে হালকা রং ধরে এলেই ,আঁচ বাড়িয়ে সর্ষের মিশ্রণ কড়াইতে দিয়ে দিলাম। সমস্ত মিশ্রণ ভালো করে নাড়তে লাগলাম। সর্ষে থেকে তেল বেরিয়ে আসতেই ,রসার পরিমান ভেবে কড়াইতে জল দিলাম।

রসা ফুটে উঠলেই আঁচ কমিয়ে রান্না অল্প মজতে দিলাম। রান্না হয়ে এসেছে মনে হতেই ,রান্নার স্বাদ দেখে নিলাম। দিলাম কয়েকটা গোটা কাঁচালঙ্কা আর একটু কাঁচা তেল। আঁচ বাড়িয়ে রসার পরিমান ঠিক করে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিলাম। রান্নায় পড়লো ঢাকা।


সত্যি গরম গরম ভাতে পনির সর্ষে খেতে ,একেবারে আচারের মতো। সবাই খুব খুশি। হাসিতে ঝলমল। বললো তুমি খুব ভালো ,আমাদের সব আবদারই তুমি শোনো। বললাম একেবারেই নয় .....তোদের আনন্দ মানেই আমার আনন্দ ........আমার খুশি।


সবাই খুব খুব খুশিতে থাকুন ,আনন্দে থাকুন আর অনেক অনেক ভালো থাকুন।


13 views0 comments

تعليقات


bottom of page