top of page

নিম - বেগুন


নিম - বেগুন ভাজা খায়নি ,এমন বাঙালির সংখ্যা বোধহয় খুবই কম | কম তো বটে ,তবে নতুন প্রজন্মের কাছে নিম - বেগুন ভাজার আকর্ষণ ,মনে হয় একটু কমেই গেছে | সদা কর্ম ব্যস্ত মানুষ জনের কাছে সময় অনেকই কমে গেছে ,এই ধরনের মুখরোচক ,স্বাস্থকর খাবার গুলো মজা করে খাবার |


সত্যি সত্যিই নিম - বেগুন ভাজা গরম ভাতের সঙ্গে বড়োই মুখরোচক | আর সবচাইতে বড়ো কথা অসম্ভব প্রাকৃতিক ঔষুধীগুনে ভরপুর ,এই ধরণের খাবার মাঝে মাঝেই আমাদের খাবার টেবিলে রাখতেই হবে | নিমপাতা... ডায়াবেটিস কমাতে ,পেট ভালো রাখতে ,স্কিনের ইনফেকশন তাড়াতে , মুখের স্বাদ বাড়াতে এবং আরো আরো রোগ দূর করতে তুলনাহীন এক প্রাকৃতিক উপাদান | যা প্রকৃতির এক বিশাল আশীর্বাদ |


এখন তো একটাই কথা সবার মুখে মুখে ,ভেজাল আর ভেজাল | খাবারে ভেজাল ,ঔষধে ভেজাল ইত্যাদি ইত্যাদি | কিন্তু প্রকৃতির কোলে ফলে থাকা নিমপাতা প্রভৃতি খাবারে নেই কোনো ভেজাল ,আছে শুধু পুষ্টিগুণ, খাদ্যগুন ,ঔষধিগুণ | খুব কঠিন অসুখ থেকে সেরে ওঠার পর যখন মুখের স্বাদ চলে যায়, একটু নিমপাতার কোনো মেনুতে তা ফিরিয়ে দেয় কিন্তু |


আমার আজকের এই রান্নাটা বিশেষ করে বলা নতুন প্রজন্মের কাছে | তাদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধও বলা যেতে পারে | কত তো ঔষুধ আমরা খাই | মাঝে মাঝে কোনো একদিন এটাকে এক মহা ঔষধ হিসাবেই না হয় খেতে পারি | যারা নতুন রান্নাঘরে পা রাখতে চলেছে ,তাদের জন্যও রইলো আমার মুখরোচক নিম - বেগুন ভাজার প্রণালী |


উপকরণ:-


  • নিমপাতা - ৭-৮আঁটি ( পরিষ্কার করে পাতা ছাড়ানো )

  • বেগুন - ১টি একটু বড়ো সাইজের ( ছোট ছোট ডুমো ডুমো করে কাটা )

  • হলুদ - সামান্য ,প্রয়োজনমতো

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • চিনি - প্রয়োজনমতো

  • সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো

  • কাঁচালঙ্কা - তরকারির ঝুড়িতে থাকা শুকনো -২ টি ( টুকরো টুকরো করে কাটা ,তবে ইচ্ছা না হলে দেবেন না ,দিতেই হবে এমন কোনো বাধ্য বাধকতা নেই ,একটু টেস্ট বাড়ার জন্য আমি দিচ্ছি )


পদ্বতি:-


গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে অল্প তেল দিলাম | তেল গরম হলের দিলাম জলে ধোয়া নিমপাতা,লংকার টুকরোগুলো একটু নুন ,কয়েকদানা চিনি ,এক চিমটে হলুদ | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে নিমপাতা মুচমুচে করে ভেজে তুলে রাখলাম | এবার কড়াইতে প্রয়োজনমতো তেল দিয়ে দিলাম জলে ধোয়া বেগুনের টুকরোগুলো ,নুন চিনি আর সামান্য হলুদ |



আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে বেগুনও সুন্দর করে ভেজে নিলাম | বেগুন ঠিকঠাক ভাজা হয়েছে মনে হতেই ,নিমপাতা ভাজাগুলো কড়াইতে বেগুনভাজার মধ্যে দিয়ে দিলাম | আঁচ বাড়িয়ে নাড়াচাড়া করে নিয়ে স্বাদটাও দেখে নিলাম | নিম - বেগুন তৈরি মনে হতেই গ্যাস বন্ধ করলাম |


এবার ? এবার দুপুরে খাওয়ার টেবিলে সবাই নিম -বেগুন দিয়ে ভাত খাওয়া শুরু করলাম | কি দারুন লাগছে ! কেউ কেউ বললো আর একটু দেবে ? ওঃ বড্ডো সুন্দর হয়েছে | এটা দিয়েই অনেকটা ভাত খেয়ে ফেললাম ,মুখটা স্বাদে ভরে গেলো যে | ভালো ভালো ,খুব ভালো |


আপনারাও ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন ,থাকুন আনন্দে |


2 views0 comments

Comments


bottom of page