top of page
Writer's pictureKaveri Nandi

নারকোলের - দুধ - দিয়ে - এঁচোড়



এঁচোড় কিন্তু খেতেই হবে | নানা ভাবে রান্না করে সব্বাইকে খেতে হবে | বড়োই উপকারী সবজি, আর নানা ঔষুধি গুনে ভরা | বিশেষ করে যারা সুগারের রুগী বা হার্টের রুগী তাদের জন্য তো খুবই ভালো | মোট কথা, সবার জন্যই ভালো | আর নারকোলের কথা কি বলবো ? অসাধারণ এক ফল যা সবার প্রিয় | রান্নার উপকরণ হিসাবে নারকোলের চাহিদা কিন্তু একটু বেশি | নারকোল দিয়ে তৈরী রান্নাতে এক স্পেশাল স্বাদ ও গন্ধ চলে আসে | আমি আজ ঠিক করেই ফেলেছি যে আমি এঁচোড় রান্না করবো নারকোলের দুধ দিয়ে | খুব ভালো হবে কিন্তু......রান্না শুরু করছি |


উপকরণ :-


  • এঁচোড় - ৫০০ গ্রাম (খোসা ছাড়িয়ে একটু বড়ো বড়ো টুকরো করে কাটা)

  • আলু - ৩,৪টি মাঝারি সাইজের (প্রত্যেকটি ৪ টুকরো করে কাটা)

  • আদা বাটা - ১ থেকে ১.৫ চামচ

  • কাঁচা লঙ্কা - ৫টি (২টি বাটা, ৩টি চেরা)

  • টমেটো - ১টি একটু বড়ো সাইজের (কুচানো)

  • ঘি - ৩ চামচ

  • গরম মশালের গুঁড়ো - ১/২ চামচ

  • সাদা তেল - প্রয়োজন মতো

  • লঙ্কা গুঁড়ো - ১ থেকে ১.৫ চামচ (ঝাল নিজের নিজের মতো)

  • ছোট এলাচ - ৬, ৭টি

  • লবঙ্গ - ৯, ১০টি

  • দারচিনি - মাঝারি ২টি টুকরো

  • তেজ পাতা - ৩ থেকে ৪টি

  • নূন - প্রয়োজন মতো

  • চিনি - প্রয়োজন মতো (অবশ্যই লাগবে)

  • নারকোলের দুধ - ৩,৪ কাপ

কচি নারকোল মিক্সিতে বেটে দুধ বার করতে পারেন অথবা বাজার থেকে তৈরী নারকোলের দুধ কিনে নিতে পারেন

পদ্ধতি :-


এঁচোড়ের টুকরো ও আলুর টুকরো একটু সেদ্ধ করে নিলাম | গ্যাসে কড়াই গরম করে সাদা তেল দিলাম| প্রথমে আলু ও তারপর এঁচোড় বেশ ভালো করে ভেজে তুলে রাখলাম | আঁচ কমিয়ে কড়াইতে দিলাম ২ চামচ সাদা তেল ও ২ চামচ ঘি, দিলাম ছোট এলাচ, লবঙ্গ, দার চিনি ও টমেটো কুচি গুলো | কয়েকবার নেড়ে নিয়ে দিলাম ---- তেজ পাতা, আদা বাটা ও লাল লঙ্কা গুঁড়ো | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে কয়েকবার কষে নিয়ে দিলাম ভাজা আলু ও এঁচোড়ের টুকরো গুলো আর নূন ও চিনি | সমস্ত উপকরণ খুব ভালো করে নাড়তে লাগলাম | ভাজা ভাজা একটা গন্ধ বেরোলেই দিলাম ৩ থেকে ৪ কাপ নারকোলের দুধ | রসা ফুটে উঠলেই আঁচ কমিয়ে একটা ঢাকা দিয়ে রান্নাটি কিছুক্ষন হতে দিলাম | আলু আর এঁচোড় সেদ্ধ হয়ে এলে, ঢাকা খুলে আঁচ বাড়িয়ে, দিলাম --- চেরা কাঁচা লঙ্কা গুলো | এবার রসা ঘন ঘন হয়ে এলেই রান্নার স্বাদ দেখে গরম মশলার গুঁড়ো ও এক চামচ ঘি দিয়ে ভালো করে নেড়ে গ্যাস বন্ধ করে দিলাম | আর রান্নাটি একটা ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিলাম | খাওয়ার সময় ঢাকা খুলতেই রান্নার সুন্দর গন্ধে ঘর ভোরে উঠলো | সব্বাই খুব আনন্দ করে তৃপ্তি করে খেলো আর প্রশংসায় ভরিয়ে দিলো | মন হয়ে গেলো একদম খুস !!! ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন |

27 views0 comments

Comentarios


bottom of page