সকালে জল খাবারের পাট চুকিয়ে ভাবছি দুপুরে কি রানা করবো | হটাৎ বাড়ির গেটর বাইরে একটা চিৎকার....."মুলা....মুলা".....আর বাড়ির ভেতর থেকে ছেলেও বলে উঠলো..."মা !!! মুলো !!!" ভাবলাম তাই তো !!! মুলো-আলু-বেগুনের চচ্চড়ি রান্না করলে কেমন হবে ? ভাবতে ভাবতে গেটর বাইরে গিয়ে সবজিওয়ালার কাছে নিলাম মুলো আর ধনে পাতা | বাকি বেগুন, আলু তো ঘরেই ছিল | মুলো-আলু- বেগুন আর ধনে পাতার চচ্চড়ি শীতকালে তো খুবই ভালো লাগে | তবে এখন আমরা তো সবসময়ে সব সবজিই বাজারে পাই | তাই সব রকমের রান্নাও করি | যাই রান্নাটা করেই ফেলি ----------
উপকরণ :-
মুলো - ৩টি (লম্বা লম্বা একটু সরু সরু করে কাটা)
আলু - ৩টি মাঝারি সাইজের (খোসা সমেত লম্বা লম্বা সরু সরু করে কাটা)
বেগুন - ১টি বড়ো (আলু, মুলোর মতো লম্বা লম্বা সরু সরু করে কাটা)
ধনে পাতা - আন্দাজ মতো (কুচানো)
কাঁচা লঙ্কা - ৩টি চেরা
পাঁচ ফোড়ন - ১/৪ চামচ
হলুদ - ১/২ থেকে ১ চামচ
গোটা শুকনো লঙ্কা -১টি বা ২টি
নূন - প্রয়োজন মতো
চিনি - প্রয়োজন মতো
সর্ষের তেল - ৩ থেকে ৪ চামচ
পদ্ধতি :-
প্রথমে কাটা আলু, মুলো, বেগুন, ধনে পাতা, কাঁচা লঙ্কা সব জলে সুন্দর করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখলাম | গ্যাসে কড়াই গরম করে তেল দিলাম | তেল গরম হলে আঁচ কমিয়ে, দিলাম ---- পাঁচ ফোড়ন, ফাটানো শুকনো লঙ্কা ও কাটা আলুর টুকরো গুলো |
আঁচ বাড়িয়ে ভালো করে ভেজে নিলাম | দিলাম কাটা মুলোর টুকরো গুলো | আলু ও মুলোর টুকরো গুলো ভালো করে ভেজে, আঁচ কমিয়ে, দিলাম ---- হলুদ, নূন ও চিনি |
আবারো কিছুক্ষন আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে রান্নাটা নাড়তে লাগলাম | সমস্ত উপকরণ একটু নরম হয়ে এলে, দিলাম বেগুনের টুকরো, ধনে পাতা কুচি আর চেরা লঙ্কা গুলো | আরও কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে একটা ঢাকা দিয়ে কম আঁচে কিছুক্ষন রান্নাটা হতে দিলাম (এখানে কিন্তু জল লাগবে না....রান্নাটি ভাপেই হবে) |
আলু, মুলো, বেগুন সুস্বিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ বাড়িয়ে কয়েকবার নাড়াচাড়া করলাম | রান্নার স্বাদ দেখে, গ্যাস বন্ধ করে দিলাম আর রান্নাটা একটা পাত্রে ঢেলে রাখলাম |
দুপুরের মেনুতে গরম ভাতে কিন্তু ধনে পাতা দিয়ে মুলো-আলু-বেগুনের চচ্চড়ি বড়োই ভালো লাগলো | খুব সুন্দর........
রান্নাটি তো খুবই সহজ | সময়ে পেলে একবার করে দেখবেন | মনে হবে বারবার খাই | সব খাবার আনন্দ করে খেলে, আপনি অবশ্যই সুস্থ থাকবেন আর থাকবেন খুব ভালো |
Comentarios