কুমড়ো - সুন্দর ন্যাচারাল কালার এ ভরপুর আমাদের খুব পরিচিত এক সবজি | সব্বাই যে কুমড়ো খেতে পছন্দ করে ,এটা বলতে পারবো না | কিন্তু এন্টিঅক্সিড্যান্ট -এ ভরপুর কালারফুল এই সব্জিটা ,আমাদের প্রত্যেকেরই মাঝে মাঝেই খাওয়া উচিত , কারণ আমাদের শরীরের জন্য এটার প্রয়োজন খুবই বেশি | প্রত্যেক বাজারে প্রতিদিনই কুমড়োর দেখা মেলে |বলতে গেলে সস্তায় পাওয়া যায় ,সহজেই পাওয়া যায় ,কিন্তু ভীষণ....ভীষণ উপকারী এক সবজি |
গ্রামে - গঞ্জে অবশ্য প্রত্যেক বাড়িতে প্রায় প্রতিদিনই মেনুতে থাকে কুমড়ো দিয়ে রাঁধা কোনো না কোনো পদ | কুমড়ো তাদের খুব পছন্দের সবজি | আমার বাড়ির সবাইও কুমড়ো দিয়ে রান্না করা বিভিন্ন মেনু পছন্দ করে | তাই আমার রান্নাঘরেও মাঝে মাঝেই বাজার থেকে কুমড়ো আসে | আজকেও এসেছে |
মাছের থলিতে অবশ্য আগেই দেখেছি ,কাটা কাতলা মাছের পিস্ গুলোর মধ্যে অল্প খানিকটা টাটকা মাছের তেল | মাছের তেলও কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য ,আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী | আসলে আমাদের প্রতিটি খাদ্যের উপকরণই নানাগুনে ভরপুর |
যাইহোক আজ ভেবে নিলাম মাছের তেল দিয়ে কুমড়ো আলুর মাখা মাখা তরকারি রাঁধবো | এই রান্নাটা গরম গরম ভাতের সঙ্গে যেমন ভালো লাগে ,গরম গরম রুটির সঙ্গেও ভীষণ ভালো লাগে ,আবার গরম গরম ডাল আর ভাতেও খুব জমে যায় |
উপকরণ :-
কুমড়ো - ৫০০ গ্রাম ( খোসা ছাড়িয়ে ডুমো ডুমো করে কাটা )
আলু - ৫-৬ টি ( খোসা ছাড়িয়ে ৮ টুকরো করে কাটা )
পেঁয়াজ - ৫-৬ ( খোসা ছাড়িয়ে কুচানো )
রসুন - ৭-৮ কোয়া ( খোসা ছাড়িয়ে কুচানো )
কাঁচালঙ্কা - ৬-৭টি ( অর্ধেক করে চেরা )
মাছের তেল - ১৫০ গ্রাম মতো
শুকনোলঙ্কা - ২-৩টি
পাঁচফোড়ন -১-১.৫ চা চামচ
হলুদ - ১.৫- ২ চা চামচ
চিনি - প্রয়োজনমতো
নুন - প্রয়োজনমতো
সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো
পদ্বতি :-
মাছের তেল ধুয়ে নিয়ে নুন হলুদ মাখালাম | গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে অল্প তেল দিলাম | তেল গরম হলে মাছের তেল হালকা করে ভেজে নিলাম | এবার কড়াইতে তেল দিয়ে ,তেল গরম হলে দিলাম ফাটানো শুকনো লঙ্কা ,পাঁচফোড়ন ,কুচানো পেঁয়াজ ,কুচানো রসুন | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে উপকরণ গুলো ভাজতে লাগলাম | পেঁয়াজ একটু নরম নরম হলেই আঁচ বাড়িয়ে দিলাম জলে ধোয়া আলুর টুকরোগুলো |খুব ভালো করে নাড়তে লাগলাম |
আলু পেঁয়াজ একটু ভাজা ভাজা হলে দিলাম জলে ধুয়ে নিয়ে কুমড়োর কাটা টুকরো গুলো | আঁচ বাড়িয়ে সমস্ত উপকরণ নাড়তে লাগলাম | রান্নার ভাজা ভাজা গন্ধ বেরোতেই ,খুব সামান্য পরিমান জল কড়াইতে দিয়ে আঁচ কমিয়ে দিলাম |এবার একটা ঢাকা দিয়ে রান্নাটা হতে দিলাম |
কিছুক্ষনের মধ্যেই রান্না থেকে সুন্দর গন্ধ বের হতে লাগলো | ঢাকা খুলে চেরা কাঁচালঙ্কা গুলো রান্নাতে দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে রান্নাটা ভালো করে নাড়তে লাগলাম | রান্না বেশ মাখো মাখো হয়েছে মনে হতেই,রান্নার স্বাদও চেখে দেখলাম | মনে হলো বাঃ বেশ ভালোই লাগছে ,সব ঠিক ঠাকই মনে হচ্ছে | গ্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে রান্নাটা রেখে দিলাম |
খাবার পাতে গরম ভাতে মাছের তেলে কুমড়ো আলুর স্বাদ অসাধারণ | জিভের স্বাদ যেন অনেক বেড়েই গেলো | বড়ো ভালো খেলাম | রান্না খেয়ে সবাই খুশি |
আপনারাও থাকুন খুব খুব খুশিতে, আনন্দে |আর অবশ্যই ভালো থাকতে হবে |
Comments