top of page

কুচো - চিংড়ি - দিয়ে - আলু - পটল



বাজারে গেলে প্রায় দেখতে পাওয়া যায়, গ্রাম থেকে যে মানুষজন মাছ বিক্রি করতে আসেন, তাদের ঝুড়িতে খুব ছোট ছোট কুচো কুচো চিংড়ি মাছ | মাঝে মাঝে দু একটা তিড়িংবিড়িং করে লাফাচ্ছে .......একেবারে জ্যান্ত মাছ |


আর এই কুচো চিংড়ি এতোই স্বাদের হয় যে, কুচো চিংড়ি যেমন ভাবেই রান্না করা হোক না কেন, খেতে দারুন লাগে | গ্রীষ্মের দুপুরের এক অসাধারণ মেনু ------গরম ভাত, গরম ডাল, লেবু আর সঙ্গে কুচো চিংড়ি-পটল-আলুর-তরকারি |


গরম কালের দুপুরে আমাদের সবসময় এমন একটা মেনু রাখা উচিত, যাতে আমাদের খাওয়ার ইচ্ছেটা বেড়ে যায় আর খেতেও খুব ভালো লাগে | আমার রান্নাঘরে আজ উপস্থিত, কুচো চিংড়ি, কচি পটল আর আলু |


তাহলে আমি অবশ্যই রাঁধতে পারবো কুচো চিংড়ি- পটল-আলুর-তরকারি |


উপকরণ :-

  • কুচো চিংড়ি - ২৫০ গ্রাম

  • আলু - ২,৩টি মাঝারি সাইজের (খোসা ছাড়িয়ে সরু সরু লম্বা লম্বা করে কাটা)

  • পটল - ৫০০ গ্রাম (হালকা হালকা খোসা ছাড়িয়ে লম্বা লম্বা সরু সরু করে কাটা)

  • পেঁয়াজ - ২,৩টি ছোট সাইজের (মিহি করে কুচানো)

  • কাঁচা লঙ্কা - ৪,৫টি অর্ধেক করে চেরা

  • রসুন - ৫,৬টি কোয়া (ছাড়িয়ে কুচানো)

  • পাঁচ ফোড়ন - ১/৪ চামচ

  • শুকনো লঙ্কা - ১টি বা ২টি

  • হলুদ - ১ চামচ

  • লঙ্কা গুঁড়ো - ১/২ চামচ

  • জিরে গুঁড়ো - ১/২ থেকে ১ চামচ

  • নূন - প্রয়োজন মতো

  • চিনি - কয়েকদানা (রং ও স্বাদের জন্য)

  • সর্ষের তেল - প্রয়োজন মতো

পদ্ধতি :-


কুচো চিংড়ি গুলো খুব ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে বেছে নিয়ে বারবার জলে ধুয়ে, জল ঝরিয়ে, নূন আর হলুদ মাখিয়ে রেখে দিলাম | গ্যাসে কড়াই গরম করে অল্প তেল দিলাম | তেল গরম হলে, জলে ধোয়া সরু সরু করে কাটা আলু গুলো কড়াইতে দিলাম | দিলাম এক চিমটে হলুদ, এক চিমটে নূন | আলু একেবারে ভালো করে ভেজে তুলে রাখলাম |


এবার কড়াইতে প্রয়োজন মতো তেল দিলাম | দিলাম পাঁচ ফোড়ন, শুকনো লঙ্কা, কুচানো পেঁয়াজ ও কুচানো রসুন | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে ভালো করে ভাজতে লাগলাম | পেঁয়াজ একটু ভাজা ভাজা হলেই, জলে ধোয়া পটোলের টুকরো গুলো কড়াইতে দিয়ে দিলাম |


দিলাম হলুদ, নূন আর চিনি | পেঁয়াজ আর পটল একসাথে ভাজতে লাগলাম | কিছুটা ভাজা হলে, দিলাম কুচো চিংড়ি, ভাজা আলুর টুকরো গুলো, লঙ্কা গুঁড়ো ও জিরে গুঁড়ো | সমস্ত মিশ্রণ কয়েকবার নেড়ে নিয়ে একটা ঢাকা দিয়ে কম আঁচে হতে দিলাম |


মাঝেমাঝে ঢাকা খুলে আঁচ বাড়িয়ে, ভালো করে নেড়ে নিয়ে, আবার ঢাকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে ভালো করে রান্না হতে দিলাম | এভাবে কিছুক্ষন রান্না হবার পর, সমস্ত উপকরণ একে ওপরের গায়ে গায়ে লেগে গেলে, দিলাম চেরা লঙ্কা গুলো |


এবার আঁচ বাড়িয়ে কিছুক্ষন নাড়তে লাগলাম | রান্না ঠিকঠাক হয়ে এসেছে মনে হতেই, রান্নার স্বাদ দেখে গ্যাস বন্ধ করে দিলাম |


আজ দুপুরের মেনু সবারই খুব ভালো লাগলো, খাওয়া ভালো হলো, স্বাদের হলো, মন ভরে গেলো | আপনারা সবাই অনেক অনেক ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ও আনন্দে থাকুন !


21 views0 comments

Comments


bottom of page