আজ লক্ষ্মী - পুজো | খুব সকাল সকাল বাড়ির সবাই ঘুম থেকে উঠে পড়েছে |সবাই ব্যস্ত মায়ের আরাধনার প্রস্তুতিতে | বেশ সাজ সাজ রব | মায়ের সন্তানদের ইচ্ছা ........ আমাদের ''মা'' যেন অচলা হয়ে সারা বছর - সারা জীবন আমাদের ঘরেই বিরাজ করেন |
পুজোর জোরদার আয়োজন চলছে |আর কিছুক্ষনের মধ্যেই শুরু হবে পুজো | ভাবলাম সবাই যখন পুজোর যোগানে ব্যস্তই .......তখন আমি দুপুরের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাটাও কিছুটা এগিয়ে রাখি |ধীরে সুস্থে এগিয়ে রাখাই ভালো |
আজ দুপুরের মেনুতে ভেবে রেখেছি ....ফুলকপি দিয়ে খিচুড়ি ,বেগুন ভাজা ,পাঁপড় ভাজা আর কিশমিশ - টমেটোর রসালো চাটনি | দারুন ! দারুন হবে |
চিন্তা ভাবনা শেষে ,রান্নাঘরে ঢুকে ,সমস্ত রান্নার যোগাড় যন্ত্র করেই রাখলাম | পুজো শেষ হলে প্রথমেই রাঁধবো কিশমিশ দিয়ে টমেটোর চাটনি | ঠান্ডা না হলে চাটন তো ভালো লাগবেই না , আর ঠান্ডা হতে তো কিছুটা সময় লাগবেই |
মহা আনন্দে ,খুব সুন্দরভাবে শেষ হলো আমাদের শ্রী শ্রী মা - লক্ষ্মীর আরাধনা ....লক্ষ্মী পুজো | পুজো শেষে সবাইকে প্রসাদ খাইয়ে ,নিজে প্রসাদ গ্রহণ করে ,ধীরে ধীরে রান্নাঘরে ঢুকে পড়লাম দুপুরের রান্নার কাজ শেষ করতে | এখন রান্না করবো কিশমিশ - টমেটোর - রসালো - চাটনি ................।অল্প উপকরণে খুব সহজ রান্না অথচ খুবই টেস্টি টেস্ট।
উপকরণ :-
টমেটো - ৩টি ,বড়ো সাইজের ( খুব মিহি করে কুচানো )
কিশমিশ - ২৫-৩০ গ্রাম
পাঁচফোড়ন - ১/২ চামচ
গোটা শুকনোলঙ্কা - ২-৩টি ( একটু করে ফাটানো )
হলুদ - ১/২ - ১ চামচ
নুন - প্রয়োজনমতো
চিনি - প্রয়োজনমতো
সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো
পদ্ধতি :-
খাওয়া দাওয়া যতই মজাদার হউক না কেনো , শেষ পাতে একটু খানি চাটনি কিন্তু এই মজার মাত্রাকে অনেক অনেক বাড়িয়ে দেয়। আসল কথা হলো শেষ পাতে আমাদের চাটনি চাই ..........চাই। নাঃ ! আর দেরি করবো না। রান্না শুরু করেই ফেলি............।
গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে অল্প পরিমানে তেল দিলাম। তেল গরম হতেই আঁচ কমিয়ে দিলাম পাঁচফোড়ন আর ২-৩টি ফাটানো শুকনোলঙ্কা। দিলাম জলে ধোয়া ,জল ঝরানো টমেটোর টুকরোগুলো ,হলুদ আর পরিমাণমতো নুন। আঁচ
বাড়িয়ে সমস্ত ভালো করে নাড়তে লাগলাম। টমেটো বেশ নরম নরম হয়ে এলে ,দিলাম কিশমিশ গুলো। আবারো সবকিছু ভালো করে কয়েকবার নাড়াচাড়া করে নিলাম। এবার রসার পরিমান ভেবে জল দিলাম।
টমেটো - কিশমিশের রসা ফুটে উঠতেই ,দিলাম প্রয়োজন মতো চিনি। কড়াইয়ের সমস্ত উপকরণ কয়েকবার নেড়ে দিলাম। চিনি দেওয়ার পর রসা ভালোমতো ফুটতে শুরু করলেই ,আঁচ কমিয়ে চাটনি মজতে দিলাম। কিছুক্ষনের মধ্যেই রান্না থেকে কিশমিশের সুন্দর গন্ধ বেরোতে লাগলো ,আর কিশমিশগুলো রসে ভরে গিয়ে ফুলো ফুলো হয়ে উঠলো।
রান্নার স্বাদ চেখে দেখলাম। বাঃ ! চাটনিতে বেশ সুন্দর কিশমিশের একটা স্বাদ। নুন ,মিষ্টির স্বাদ ঠিক হয়ে গেছে মনে হতেই ,বেশি আঁচে চাটনির রসার পরিমান ঠিক করে নিলাম। বেশি ঘন নয় ,অল্প পাতলা পাতলা। গ্যাস বন্ধ করে দিলাম। কড়াই থেকে চাটনি একটা পাত্রে ঢেলে নিয়ে ,ঠান্ডা হতে দিলাম। কতো সহজ রান্না আর কতো চটজলদি ......তাই না !
খাওয়ার পাতে সবার একই মত। চাটনি অসাধারণ হয়েছে। স্বাদে - গুনে একেবারে স্পেশাল। শেষ পাতে চাটনি মাখানো পাঁপড়ভাজা যে কি ভালো ,আর কি ভালো ,তা বোধহয় বলে বোঝানো যাবেই না........অপূর্ব ! খুব ভালো ! খুবই ভালো ......!
ভালো থাকুন ,সবাই সুস্থ থাকুন ,অনেক অনেক আ .........নন্দে থাকুন।
Comentários