top of page

হিলসে - খয়রার - মরিচকাটা - ঝোল


বাঙালি মাছ খেতে ভালোবাসে। খাওয়ার পাতে যে কোনো পছন্দের মাছের একটা মেনু থাকলেই ,তাদের খাওয়াতে তৃপ্তি -সন্তুষ্টি --যেন অনেকই বেড়ে যায়। বাঙালি মাছ খেতে যেমন ভালোবাসে ,তেমনি ছোট - বড়ো নানা ধরণের মাছের ,নানা ধরণের পদ রান্না করতেও ভালোবাসে। নিত্যদিন ,পাল্টে পাল্টে নতুন নতুন রান্নায় বড়োই আনন্দ আর খেতে ?---------আনন্দের স্রোতে যেমন ভরা তেমনি নতুন নতুন উৎসবের বাহারে ভর|।


মাছের রানী ইলিশ মাছের মরিচ কাটা ঝোল যেমন খেতে অসাধারণ ,তেমনি হিলসে - খয়রার মরিচ কাটা ঝোল ও দারুন টেস্টি টেস্টি। সত্যি সত্যি অসাধারণ ! অসাধারণ ! তবে এতো -শত চিন্তা না করে ,একবার রান্না করে খেয়ে দেখলে

কেমন হয় ?---------মনে হয় সব চিন্তার খুব সহজেই সুরাহা হয়েই যায়। সুতরাং এবার মনটা রান্নার দিকে দেওয়া যাক।


আমার এতো বকবকানি ,রান্নাঘরে মাছের থলিতে কয়েকটা হিলসে - খয়রা দেখেই। হিলসে - খয়রার মরিচ কাটা ঝোল রান্না করবোই। গরম ভাতে হিলসে - খয়রার মরিচ কাটা ঝোল --

------আহা--হা মুখ - মন দুইই স্বাদে ভরে যাবেই যাবে -----।


সকালের জলখাবার খেয়ে ,অন্যান্য কিছু কিছু কাজ শেষ করে ,নিশ্চিন্ত মনে রন্ধনশালায় প্রবেশ করলাম। খুব আনন্দের সঙ্গে শুরু হলো ,দুপুরের প্রধান মেনু ,হিলসে - খয়রার মরিচ কাটা ঝোল। যত সহজ রান্না - ততই খেতে মজা। মশলার আধিক্য নেই বললেই চলে। কিন্তু খেতে টেস্টি টেস্টি। কি অপূর্ব !----তাইনা ? আসল কথা হিলসে খয়রা খেতে দারুন। খুব মিষ্টি স্বাদের মাছ। নিজস্ব এক দারুন স্বাদে ভরা। তাইতো এই মাছের হালকা এই রান্না ,যা হালকা অথচ দারুন । তাছাড়া ছোট যে কোনো মাছই পুষ্টিতে ভরপুর। ছোট - বড়ো আমাদের সবার জন্য খুবই উপকারী। আর তাই ছোট ছোট মাছের চাহিদাও বেশি।


উপকরণ :-

  • হিলসে - খয়রা( বা খয়রা - ইলিশ ) -৭০০ গ্রাম ( ১২ পিস্ ,খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করা )

  • কাঁচালঙ্কা - ১৪-১৫টা ( লম্বালম্বি খানিকটা করে চেরা )

  • কালোজিরে - ১ চামচ

  • হলুদ - ২ চামচ ( কম - বেশি নিজের নিজের প্রয়োজনমতো )

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • চিনি - প্রয়োজনমতো

  • সর্ষের তেল - ভাজার জন্য ,প্রয়োজনমতো


পদ্ধতি :-


প্রথমে মাছের পিস্ গুলো ভালো করে ধুয়ে নুন আর হলুদ মাখিয়ে নিলাম। গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে সর্ষের তেল ঢেলে দিলাম। তেল ভালো মতো গরম হলেই ,কয়েকটা নুন হলুদ মাখানো হিলশা - খয়রা কড়াইতে ছেড়ে দিলাম। আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে সমস্ত মাছ এ পিঠ - ও পিঠ করে ,কড়া করে ভেজে তুলে রাখলাম।


এবার কড়াইয়ের বাকি তেলের মধ্যে প্রয়োজনমতো আর একটু সর্ষের তেল দিয়ে ,দিলাম কালোজিরে আর কয়েকটা চেরা কাঁচালঙ্কা। আঁচ কমিয়ে কড়াইতে দিলাম ভাজামাছ গুলো। ছড়িয়ে দিলাম ১ চামচ মতো হলুদ ,কয়েকদানা চিনি ( রান্নায় রং আর স্বাদের জন্য ),আর প্রয়োজনমতো নুন। সব হালকা হাতে একটু নেড়েচেড়ে আঁচ বাড়িয়ে ,ঝোলের

পরিমান ভেবে কড়াইতে জল দিলাম। বেশি আঁচে ঝোল ফুটতে শুরু করলেই ,আঁচ কমিয়ে রান্না কিছুক্ষন হতে দিলাম।


ওঃ ! দারুন গন্ধ বেরিয়েছে। হিলশা - খয়রার মিষ্টি গন্ধে চারিদিক ম --ম --করছে। রান্নার স্বাদ দেখে নিলাম। ঠিক হয়েছে মনে হতেই ,আরো কয়েকটা চেরা কাঁচালঙ্কা কড়াইতে দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে ঝোলের পরিমান ঠিক করে নিলাম। রান্না হয়ে গেছে মনে হতেই গ্যাস বন্ধ করে ,ঝোল একটা পাত্রে ঢেলে রেখে ,ঢাকা দিয়ে রাখলাম। একেবারে খাবার টেবিলেই মাছের ঝোলের ঢাকাটা খুলবো।


সবাই তো রান্নার গন্ধ পেয়েই গেছে। খাবার টেবিলে আমরা সবাই খুশি। অনেক আনন্দ করে ,অনেক তৃপ্তি করে দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। মন - প্রাণ আর জিভ সুন্দর স্বাদে ভরে রইলো। বেশ ভালো লাগছে ----------


কি ভাবছেন ? সহজ রান্নাটা একবার -----মাত্র একবার রেঁধে দেখবেন ? খুব ভালো লাগবে। এখন সব্বাই

ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন ,অনেক আনন্দে থাকুন।

8 views0 comments

Comentários


bottom of page