top of page

গলদা- চিঙড়ি -সাথে -ফুলকপি


সকালের বাজার তো চলেই এসেছে | যাই দেখি আজ বাজার থেকে কি কি আনা হয়েছে | ওমা !একি গো ?একেবারে অবাক করা কান্ড ! বাজার থেকে নিয়ে আসা মাছের থলিতে বড়ো ছোট মিলিয়ে ১০ -১২টা গলদা চিঙড়ি | মনটা খুশিতে ,আনন্দে ভরে গেলো | কি রাঁধি? কি রাঁধি? একটু নতুন কিছু রাঁধি ?

তাহলে এবার সবজির থলিটা দেখি | ব্যাগ খুলতেই প্রথমেই হাতে উঠে এলো শীতকালের সুন্দর স্বাদের একটা বেশ বড়ো ফুলকপি | ভাবলাম ,বাঃ ! ফুলকপি দিয়ে যদি গলদা চিঙড়ির রসা রসা করি , তবে অবশ্যই নতুন রকম রান্না হবে | আর খেতেও ভালো লাগবেই |


এই শীতের মরশুমে আজ প্রথম রাঁধবো গলদা চিঙড়ি দিয়ে ফুলকপির ডালনা | দুপুরে খাবার টেবিলে সবাইকে আজ অবাক করবোই করবো |

জল খাবারের পর সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লো | আর আমি ব্যস্ত হয়ে রান্নাঘরে ঢুকলাম সুন্দর করে ,মুখরোচক করে গলদা চিঙড়ি দিয়ে ফুলকপির ডালনা রাঁধতে |


উপকরণ :-

  • গলদা চিঙড়ি - ১০-১২টা (খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করা )

  • ফুলকপি - ১টা বড়ো সাইজের ( বড়ো বড়ো টুকরো করে কাটা )

  • আলু ৬-৭ টি মাঝারি সাইজের ( খোসা ছাড়িয়ে অর্ধেক করে কাটা )

  • টমেটো -১টি বড়ো সাইজের ( কুচানো )

  • আদা বাটা - ২ চামচ

  • রসুন বাটা - ১ চামচ

  • কাঁচালঙ্কা বাটা - ২-৩ চামচ

  • হলুদ - ২-৩ চামচ

  • জিরেগুঁড়ো - ৩-৪ চামচ

  • লাল লঙ্কাগুঁড়ো - ১-১.৫ চামচ

  • গোটা জিরে - ১/২ চামচ

  • ছোট এলাচ - ৬-৭ টা

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • চিনি - প্রয়োজনমতো ,অবশ্যই লাগবে

  • সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো


পদ্বতি :-



চিঙড়ি মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখালাম | গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে তেল দিলাম | তেল গরম হলে ধোয়া কাটা ফুলকপিগুলো তেলে ছেড়ে দিলাম | দিলেন ২-৪ দানা চিনি ,একটু নুন , এক চিমটে হলুদ |আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে ফুলকপি অল্প রাঙা করে ভেজে তুলে রাখলাম | এবার আঁচ কমিয়ে চিঙড়ি মাছগুলো সাঁতলে তুলে নিলাম |


এখন কড়াই পরিষ্কার করে আঁচ বাড়িয়ে প্রয়োজনমতো তেল দিলাম | তেল গরম হলে আঁচ কমিয়ে কড়াইতে দিলাম গোটা জিরে

আর ছোট এলাচগুলো | আর দিলাম জলে ধোয়া কাটা আলুগুলো | আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে আলুগুলো রাঙা করে ভাজা হলে , আঁচ কমিয়ে দিলাম আদা বাটা ,রসুন বাটা ,কাঁচালঙ্কা বাটা ,নুন আর চিনি | সমস্ত উপকরণ আঁচ বাড়িয়ে


কমিয়ে ভালো করে কষতে লাগলাম | আদা রসুনের কাঁচা গন্ধ চলে যেতেই ,আঁচ কমিয়ে দিলাম হলুদ ,জিরেগুঁড়ো ,লাল লঙ্কাগুঁড়ো আর কুচানো টমেটোগুলো |


আবারো আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে সমস্ত উপকরণ ভালোভাবে নাড়তে লাগলাম | মশলার সুন্দর গন্ধ বেরোলেই দিলাম ভাজা কপির টুকরোগুলো | কয়েকবার নাড়াচাড়া করে নিয়ে আঁচ বাড়িয়ে রসা রসা হবে ,সেই পরিমাণমতো জল দিলাম | রসা ফুটতে শুরু করলেই ,আঁচ কমিয়ে সাঁতলানো চিড়িমাছগুলো ঝোলের মধ্যে দিয়ে একটা ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিলাম |

কিছুক্ষন বাদে রান্না ঠিকমতো হয়েছে মনে হতেই রান্নার স্বাদ দেখে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিলাম |


দুপুরে খাবার টেবিলে সবাই নতুন মেনু দেখে অবাক আবার খুশিও | কিন্তু খেয়ে আরোও অবাক হয়ে বললো ,আজ রান্নাটা এতো সুন্দর করলে কিভাবে ! মুখ যেন স্বাদে ভরেই রইলো | বাঃ ! বাঃ ! খুব সুন্দর ,খুবই সুন্দর | বড়ো ভালো |


আপনারাও ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন , আনন্দে থাকুন |

4 views0 comments

Comments


bottom of page