শীতকালের ফুলকপি স্বাদে কিন্তু একটু বেশিই ভালো লাগে| যদিও এখন বছরের সব সময়েই সব সবজিই ফলানো হয় | তবে শীতের সবজির শীতকালে স্বাদই আলাদা হয় ,এটা আমরা সব্বাই, যারাই খেতে ভালোবাসি,তারাই বুঝতে পারি | সেই কচি কচি ফুলকপির কচি কচি পাতা বাটা ,কি অসাধারণ লাগে ,না খেলে বোঝাই যাবে না | জিভে জল আনা স্বাদ | গরম গরম ভাতে প্রথম পাত দারুন স্বাদে ভরে যায়|
আজকের বাজারের থলিতে পাতাসমেত ছোট ছোট ফুলকপিগুলো দেখেই সঙ্গে সঙ্গে ভেবেই নিলাম ,কচি কচি পাতাগুলো দিয়ে ,পাতাবাটা করবো | থলিতে কচি কচি ধনেপাতাও ছিল | ফুলকপির পাতার সঙ্গে ধনেপাতাও মিশিয়ে দেব | দারুন স্বাদের হবে | মেনুটা কিন্তু আমার ভীষণ প্রিয়| তাই মনটা খুশিতে ভরা ভরা ...আর খুশি ভরা মনে পাতাবাটা তৈরিতে লেগেই গেলাম |
উপকরণ:-
ফুলকপির পাতা - ৩০০ গ্রামের মতো
ধনেপাতা -১৫০ গ্রাম
কাঁচালঙ্কা -৪টা গোটা
আদা -১/২ ইঞ্চি মতো
রসুন -মাঝারি সাইজের ১টা ( ছাড়ানো )
নুন - প্রয়োজনমতো
চিনি - প্রয়োজনমতো
সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো
পদ্বতি :-
প্রথমেই কপির পাতাগুলো জলে বার বার ধুয়ে নিলাম | গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে জল দিলাম | জলের মধ্যে পাতাগুলো দিয়ে দিলাম হালকা সেধ্ব হওয়ার জন্য |মাঝারি আঁচে রেখে ,কড়াইতে একটা ঢাকা দিয়ে দিলাম | এইবার ধনেপাতাগুলোও বার বার ধুয়ে নিয়ে মিক্সিতে দিয়ে বেটে নিলাম আর একটা পাত্রে ঢেলে রাখলাম | আদা, রসুন আর কাঁচালঙ্কা ধুয়ে নিয়ে একসঙ্গে মিক্সিতে দিয়ে ভালো করে পিষে নিলাম | আদা ,রসুন ,কাঁচালঙ্কা বাটাও একটা পাত্রে রেখে দিলাম |
এবার কড়াইয়ের ঢাকা খুলে দেখলাম পাতা হালকা সেধ্ব হয়েই গেছে | গ্যাস বন্ধ করলাম আর কড়াই থেকে জল ছেঁকে নিয়ে কপির পাতাগুলো তুলে নিলাম | সেধ্ব পাতাগুলোও মিক্সিতে দিয়ে বেটে নিলাম | কপির পাতা বাটাও একটা পাত্রে তুলে রাখলাম |
আবার গ্যাসে কড়াই চাপলাম | দিলাম প্রয়োজনমতো তেল | তেল গরম হলে আঁচ কমিয়ে দিলাম ,কপির পাতা বাটা ,ধনেপাতা বাটা ,আদা-রসুন-কাঁচালঙ্কা বাটা ,নুন আর চিনি | সমস্ত উপকরণ আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে ভালো করে নাড়তে লাগলাম | মিশ্রণ বেশ ভাজা ভাজা হলেই ,স্বাদটা তাক তাক হয়েছে কিনা চেখে নিলাম | মনে হলে দারুণ হয়েছে | গ্যাস বন্ধ করলাম | বাঃ! পাতাবাটা তৈরি |
খাবার পাতে গরম গরম ভাত আর গরম গরম পাতা বাটা অসাধারণ ! অসাধারণ ! স্বাদে সত্যি সত্যিই আমাদের সবার মুখ ভরে উঠলো |সবাই খুশি |
আপনারাও খুশিতে থাকুন ,ভালো থাকুন ,আনন্দে থাকুন |
ความคิดเห็น