top of page

চিঙড়ি-পেঁয়াজকলি -মাখা- ভাপা


পেয়াঁজকলি ভীষণ ভীষণ মুখরোচক সবুজে ভরা সবজি| পেঁয়াজকলি ভাজা ....বলতেই জিভে যেন জল এসে যায় | গরম গরম ভাতের সঙ্গে যেমন খেতে মজার ,রুটির সঙ্গেও তেমনি |একগোছা পেঁয়াজকলি যেন সবুজে ভরা এক তোড়া,যে তোড়ার মাথায় ছোট ছোট সাদা কুঁড়ি দিয়ে সাজানো |


বড়োই অপূর্ব লাগে |একবার মন দিয়ে দেখলেই কথাটা সত্যিই মনে হবে |এখন সব বাজারের সারি সারি দোকানে ,দুয়ারে দুয়ারে সব ভ্যানেই কচি কচি পেঁয়াজকলিতে ভরা | চট পট বিক্রি ও হয় |

আজ আমার বাজারের থলিতেও সবুজে ভরা কচি কচি পেঁয়াজকলি | মাছের থলিতেও কুঁচো চিঙড়ি| চিঙড়ি পেঁয়াজকলির মাখার ভাপা রাঁধবো ,তা তো কাল থেকেই ভেবে রেখেছি | তাই তো এতো আনন্দ করে আজ বাজার সারছি | চিঙড়ি পেঁয়াজকলি মাখা ভাপা খেতে দারুন লাগে যে | মশলা কম, খুব সহজ রান্না কিন্তু খেতে অসাধারণ টেস্টি টেস্টি | সত্যি বলছি ,একবার রেঁধে খেয়ে দেখুন ,মনে হবেই হবে... যে বার বার রান্নাও করবো আর বার বার মজা করেও খাবো |


উপকরণ :-

  • পেঁয়াজকলি - ৫০০ গ্রাম (একটু লম্বা লম্বা করে কাটা )

  • খোসা সমেত চিঙড়ি - ৫০০ গ্রাম

  • আলু - ২টো একটু বড়ো সাইজের ( খোসা ছাড়িয়ে সরু সরু লম্বা লম্বা আলু ভাজার মতো করে কাটা )

  • টমেটো - ২ টো ছোট সাইজের ( কুচানো

  • পেঁয়াজ - ৬টি ছোট সাইজের ( বড়ো বড়ো করে কাটা )

  • কাঁচালঙ্কা - ৫-৬ টি ( অর্ধেক করে চেরা , লাল কাঁচালঙ্কা হলে ভালো হয় ,সবুজ পেঁয়াজকলি সঙ্গে মিশে যাবে না )

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • চিনি- সামান্য কয়েকদানা ( স্বাদ বাড়ানোর জন্য )

  • হলুদ - ১ থেকে ২ চামচ

  • তেল - প্রয়োজনমতো

পদ্বতি :-



প্রথমেই চিঙড়ি মাছগুলো ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে একটু নুন হলুদ মাখিয়ে রাখলাম | একটা কড়াই নিয়ে তার মধ্যে দিলাম জলে ধোয়া কাটা আলু ,কাটা পেঁয়াজগুলো,কাটা পেঁয়াজকলি ,কাটা টমেটো ,চেরা কাঁচালঙ্কা, নুন হলুদ মাখানো চিঙড়ি মাছ ,প্রয়োজনমতো নুন ,সামান্য কয়েকদানা চিনি ,প্রয়োজনমতো সর্ষের তেল আ]র ১ চামচ মতো হলুদ | সমস্ত উপকরণ হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম |



গ্যাসে উপকরণ সমেত কড়াই চাপলাম | আঁচ বাড়িয়ে কড়াই গরম হতে দিলাম | উপকরণ সমেত কড়াই গরম হলেই আঁচ কমিয়ে একটা ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিলাম | চিঙড়ি - পেঁয়াজকলি ভাপার গন্ধে শুধু রান্নাঘরই না ,সমস্ত ঘর ভরে গেলো | বাড়ির একেকজন রান্নাঘরের দরজার কাছে আসছে, আর বলছে ,কি রান্না হচ্ছে ! গন্ধে জিভে জল এসে যাচ্ছে যে |


কিছুক্ষন বাদে কড়াইয়ের ঢাকা খুলে দেখি ,পেঁয়াজকলি থেকে বেশ খানিকটা জল বেরিয়েছে , রান্নার রং ও বদলে গেছে | রান্নার স্বাদ একটু দেখে নিয়ে আঁচ বাড়িয়ে দিলাম | রান্না ভালো মতো মাখো মাখো হলেই গ্যাস বন্ধ করলাম |


খাবার টেবিলে এসে দেখি সবাই তৈরি হয়েই বসে গেছে | হাসি লুকিয়ে সবার টেবিলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে দিলাম গরম গরম চিঙড়ি -পেঁয়াজকলির ভাপা | সবাই খুব তৃপ্তি করে খাচ্ছে | দেখে যে কি আনন্দ লাগছিলো ,কথায় বলে মনে হয় বোঝাতে পারবো না | শুধু অনেক অনেক তৃপ্তি আর অনেক অনেক আনন্দ |


খুব ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন , আনন্দে থাকুন |




















2 views0 comments

Comments


bottom of page