top of page
Writer's pictureKaveri Nandi

চিংড়ি - আলু - পটোলের - ডালনা



চিংড়ি আলু পটোলের ডালনা --- আমাদের বাঙালি রান্নাঘরের খুবই পরিচিত এক রান্না | বাগদা চিংড়ি, চাপড়া চিংড়ি, আমাদের রান্নাঘরে মাঝেমাঝেই ঢুকে পরে | আর আমরা এদের দিয়ে নানা টেস্টি টেস্টি পদ রান্না করেও ফেলি |


চিংড়ি মাছ স্বাদে গুনে অসাধারণ, তাই চিংড়ি দিয়ে সব রান্নাই স্বাদে গুনে অসাধারণ | মোট কথা, আমাদের চাই ভালো স্বাদ আর ভালো স্বাদ | তার সঙ্গে চাই কিছুটা পুষ্টিগুন | তাহলেই রান্নাঘর একেবারে ঠিকঠাক |


আজ আমাদের বাজারের থলিতে উঁকিঝুঁকি মারছে বাগদা চিংড়ির দল, কিছু কচি কচি পটল, আলু, টমেটো, কাঁচা লঙ্কা........ | বুঝতেই পারলাম চিংড়ি দিয়ে আলু পটোলের ডালনা রান্নার সব উপকরণই রয়েছে |


তাহলে আর কেন ? রান্নাতে লেগেই পরি |


উপকরণ :-


  • চিংড়ি - ৫০০ গ্রাম

  • পটল - ৫০০ গ্রাম (অল্প অল্প খোসা ছাড়িয়ে আড়াআড়ি করে কাটা)

  • আলু - ৭,৮টি ছোট ছোট সাইজের (খোসা ছাড়িয়ে আড়াআড়ি করে কাটা)

  • টমেটো - ১টি মাঝারি সাইজের (ছোট ছোট করে কাটা

  • কাঁচা লঙ্কা বাটা - ২ চামচ

  • আদা বাটা - ১ থেকে ১.৫ চামচ

  • রসুন বাটা - ১ চামচ

  • গোটা জিরে - ১/২ চামচ

  • গোটা শুকনো লঙ্কা - ২টি

  • হলুদ - ১ থেকে ২ চামচ

  • জিরে গুঁড়ো - ৩ থেকে ৪ চামচ

  • লঙ্কা গুঁড়ো - ১ থেকে ১.৫ চামচ

  • গরম মশলা - ১/২ চামচ (কেউ না চাইলে নাও দিতে পারেন)

  • নূন - প্রয়োজন মতো

  • চিনি - প্রয়োজন মতো (লাগবেই রং আর স্বাদের জন্য)

  • সর্ষের তেল - প্রয়োজন মতো

পদ্ধতি :-


বাজারের থলি থেকে চিংড়ি গুলো বার করে নিলাম | খোসা ছাড়িয়ে, ভালো করে পরিষ্কার করে, জলে ধুয়ে আর জল ঝরিয়ে, নূন-হলুদ মাখিয়ে রেখে দিলাম | গ্যাসে কড়াই গরম করে অল্প তেল দিলাম | তেল গরম হলে চিংড়ি গুলো কড়াইতে দিয়ে সাঁতলে নিয়ে তুলে রাখলাম |


আবার কড়াইতে প্রয়োজন মতো আরেকটু তেল দিয়ে জলে ধোয়া পটল গুলো ছেড়ে দিলাম | হালকা রাঙা করে ভেজে তুলে রাখলাম | এবার কড়াই পরিষ্কার করে নিয়ে ৩,৪ চামচ তেল দিলাম | তেল গরম হলে দিলাম, গোটা জিরে, ফাটানো শুকনো লঙ্কা আর জলে ধোয়া আলুর টুকরো গুলো | ভালো করে ভাজতে লাগলাম |


আলু একটু রাঙা রাঙা হয়ে এলে, আঁচ কমিয়ে, দিলাম আদা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা | আঁচ বাড়িয়ে ভালো করে কষতে লাগলাম | আদা রসুনের কাঁচা গন্ধ চলে গেলেই, আঁচ কমিয়ে, দিলাম হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, নূন আর অবশ্যই প্রয়োজন মতো চিনি |


আঁচ বাড়িয়ে ভালো করে দু একবার নেড়ে টমেটোর টুকরো গুলো দিয়ে দিলাম | সব উপকরণ ভালো করে কয়েকবার কষে নিয়ে ঝোলের পরিমাণ ভেবে কড়াইতে জল দিলাম | ঝোল ফুটে উঠলেই, একটা ঢাকা দিয়ে রান্নাটা কিছুক্ষন হতে দিলাম |


আলু মোটামোটি সেদ্ধ হয়ে এলে, আঁচ বাড়িয়ে নিয়ে, দিলাম ---- ভাজা পটল আর সাঁতলানো চিংড়ি মাছ গুলো | ঝোল যেই ফুটে উঠলো, আবার আঁচ কমিয়ে কিছুক্ষন রান্না হতে দিলাম | রান্নাটা বেশ মজে গেলে, আঁচ বাড়িয়ে ঝোলের পরিমাণ ঠিক করে নিলাম, দেখে নিলাম রান্নার স্বাদ |


এবার রান্নায় দিলাম গরম মশলা | আবার কয়েকবার নেড়েচেড়ে গ্যাস বন্ধ করে দিলাম আর একটা ঢাকা দিয়ে রান্নাটা রেখে দিলাম |


আজকে দুপুরের মেনু সবার খুবই পরিচিত, খুবই প্রিয় | তাই সব্বাই বেজায় খুশি | প্রাণ ভরা আনন্দ নিয়ে চিংড়ি আলু পটোলের ডালনা দিয়ে সারা হলো আমাদের দুপুরের খাওয়া দাওয়া | নিজেরাও খুব খুব আনন্দে থাকুন, অন্যদেরও আনন্দে রাখুন, ভালো থাকুন এবং অবশ্যই সুস্থ থাকুন |


17 views0 comments

Comments


bottom of page