top of page

চালকুমড়ো - উচ্ছে - শুক্তো


শুক্তো ....বাঙালিদের জীবনে এক অসাধারণ মেনু। বেশ কিছুকাল পূর্বেও বনেদি বাঙালিদের ভাতের থালার পাশে একটা -দুটো বাটি নয় ,বেশ কয়েকপ্রকার মেনুর বাটি চারিদিকে সাজানো থাকতো। তার মধ্যে একটা বাটিতে অবশ্যই কোনো না কোনো ধরণের শুক্তোর একটা মেনু থাকতোই। শুক্তো নানা ভাবে রান্না হয়। আমি আজ রাঁধবো চালকুমড়ো -উচ্ছে -শুক্তো।


শুক্তো আমাদের শরীরের বিশেষ উপকারী এক মেনু। গরমে শুক্তোর প্রয়োজনীয়তা অসীম। শরীর ঠান্ডা রাখতে ,পেট ভালো রাখতে ,মুখের স্বাদ বাড়াতে, সহজে হজম করাতে এই মেনু তুলনাহীন। শুক্তোর প্রধান উপকরণ রাধুনি-- শরীরের জন্যে খুবই উপকারী। রাধুনীতে আছে এক স্পেশাল স্বাদ ,স্পেশাল গন্ধ। যা শুক্তো মেনুকে এক স্পেশাল মেনু করে তোলে। শুক্তো রান্নার গন্ধে মনতো ভরে ওঠেই ,আবার মনেও হয় '' ঘ্রানেন অর্ধনং ভোজনম। ''


যথারীতি শুক্তো রান্নার সমস্ত উপকরণ জোগাড় হয়েই গিয়েছিলো। এখন শুধু রান্না বাকি। আজকের প্রথম রান্না .........দুপুরের মেনু গুলোর এক মেনু ''চালকুমড়ো - উচ্ছে - শুক্তো '।


উপকরণ :-


  • কচি চালকুমড়ো - ১টি ( ১ কেজি মতো , জলে ধুয়ে নিয়ে মিহি করে কুচানো )

  • উচ্ছে - ২০০ গ্রাম (জলে ধুয়ে নিয়ে গোল গোল খুব পাতলা পাতলা করে কাটা )

  • বিউলি ডালের বড়ি - ১২-১৪টি

  • রাধুনি - ১- ১.৫ চামচ

  • চিনি - প্রয়োজনমতো ( অবশ্যই লাগবে )

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • সাদা তেল - প্রয়োজনমতো

  • ঘি - ১-২ চামচ


পদ্ধতি :-


গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে তেল দিলাম ( সাদা তেল )। তেল গরম হলে বড়িগুলো কড়া করে ভেজে রেখে দিলাম। ওই কড়াইতে আর একটু তেল দিয়ে দিলাম কাটা উচ্ছের টুকরোগুলো। দিলাম ২-১ দানা চিনি আর এক চিমটে নুন। আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে উচ্ছে টুকরো গুলো একেবারে মুচমুচে করে ভেজে নিলাম।


কড়াই ভালো করে পরিষ্কার করে গ্যাসে বসলাম। প্রয়োজনমতো তেল দিলাম। তেল গরম হলে আঁচ কমিয়ে দিলাম রাধুনি ফোড়ন। দিলাম কাটা চালকুমড়োর টুকরোগুলো ,একটু নুন একটু চিনি। বেশি আঁচে কয়েকবার নাড়াচাড়া করে ,আঁচ কমিয়ে একটা ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিলাম।


কিছুক্ষন বাদে ঢাকা খুলে দেখি চালকুমড়ো একটু নরম হয়েছে আর চালকুমড়ো থেকে খানিকটা জল বেরিয়েছে। এবার ভাজা বড়িগুলো কড়াইতে দিয়ে ,রান্না আবার ঢাকা দিয়ে কম আঁচে কিছুক্ষন হতে দিলাম। ইতিমধ্যে রাঁধুনির সুন্দর গন্ধে রান্নাঘর 'ম' 'ম' করছে। এইবার ঢাকা খুলে রান্নার আঁচ বাড়িয়ে দিলাম।

রান্না চেখেও দেখে নিলাম। মনে হলো রান্না হয়েই এসেছে। এখন কড়কড়ে উচ্ছে ভাজাগুলো আর ২ চামচ ঘি রান্নাতে দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে গ্যাস বন্ধ করে দিলাম। বাঃ! বাঃ ! মনে হচ্ছে ভালোই হয়েছে। দুপুরের খাওয়ার অপেক্ষায় থেকে শুক্তো ঢাকা দিয়ে রাখলাম।


দুপুরে গরম ভাতে প্রথম পাতে চালকুমড়ো- উচ্ছের শুক্তো দিয়ে খাওয়া শুরু। কি ভালো ! কি ভালো !আর কি দারুন টেস্টি টেস্টি।খাওয়ার আনন্দে সব্বার মন আহ্লাদিত।


অনেক অনেক আনন্দে থাকুন। প্লিজ এই গরমে শুক্তো খেতে হবে কিন্তু .....।তাহলেই ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন।




12 views0 comments

Comments


bottom of page