কাল দুপুরের মেনুতে পালংশাকের ঘন্ট রেঁধেছিলাম। খেতে তো খুবই ভালো হয়েছিল। তবে এক আঁটি মতো পালংশাক বেড়ে গিয়েছিলো। ভেবে রেখেছিলাম আজ ভাজা করে দেবো।অল্প পালংশাক ভাজা দিয়েই আজ দুপুরের গরম ভাতের প্রথম গ্রাস টাও জমে উঠবেই উঠবে। তাছাড়া পালংশাক রোজ মেনুতে থাকলেও মনে হয় সবারই উপকার। বড়োই উপকারী শাক। আয়রন ,ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই শাক আমাদের সবার শরীর সুস্থ রাখতে ,শক্তি জোগাতে এক মহৌষধ।
ফ্রিজ থেকে পালংশাকের আঁটিটা বার করে নিলাম। বাহ্ ! বাহ্ ! পাতাগুলো বেশ টাটকা রয়েছে তো। শাকের পরিমানটা কি কম হয়ে গেলো ? ঠিক আছে ভাজার সময়ে একটা বেগুন কুচিয়ে দিয়ে দেবো। একটু তো বাড়বেই। আর একটা কাজ করলে মনে হয় রান্নাটা দারুন টেস্টি হয়ে উঠবে। রান্নাটা শুরু করবো বিউলির ডালের ফোড়ন দিয়ে। আরো একটু বেশিই মুখরোচক হয়ে উঠবে।
এই সব চিন্তা করতে করতে আমার পালং শাক কুচানো হয়ে গেছে। কুচানো শাকগুলো জলে ভিজিয়ে ও দিয়েছি। একটু জলে ভিজুক। বেগুনটা ও ছোট ছোট ডুমো ডুমো করে কেটে নিয়ে জলে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখলাম। ২ - ৩ চামচ মতো বিউলির ডাল একটা ছোট পাত্রে নিয়ে রাখলাম। নিলাম ১ চামচ মতো পাঁচফোড়ন , ১ চামচ মতো হলুদ ,২ টো ফাটানো শুকনোলঙ্কা , কিছু অর্ধেক করে চেরা কাঁচালঙ্কা আর ?----- আর তেল ,নুন,স্বাদের জন্য অবশ্যই একটু চিনি।
দুপুরের প্রথম রান্না '' বিউলিডাল ফোরণে পালংশাক ভাজা ''--র সব উপকরণ জোগাড় যখন হয়েই গেছে ,তখন রান্না শুরুর দেরি কেনো ? -------রান্না শুরু -----
উপকরণ :-
পালংশাক - ১ আঁটি
বেগুন - ১ টি ,একটু বড়ো সাইজের ( ছোট ছোট ডুমো ডুমো করে কাটা )
কাঁচালঙ্কা - ৫-৬ টি ( অর্ধেক করে চেরা )
বিউলির ডাল - ২-৩ চামচ
গোটা শুকনোলঙ্কা - ২টি ,একটু করে ফাটানো
পাঁচফোড়ন - ১ চামচ
হলুদ - ১ চামচ মতো
নুন - প্রয়োজনমতো
চিনি - প্রয়োজনমতো
অবশ্যই সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো
পদ্ধতি :-
রান্না শুরুর প্রথমে ,কুচানো শাকগুলো বার বার ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিলাম। গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে তেল দিলাম। তেল গরম হতেই আঁচ কমিয়ে কড়াইতে দিলেন পাঁচফোড়ন ,২ টি ফাটানো শুকনোলঙ্কা ,২-৩ টি অর্ধেক করে চেরা কাঁচালঙ্কা আর ২-৩ চামচ বিউলিরডাল। আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে সমস্ত কিছু ভালো করে নেড়েচেড়ে নিয়ে দিলাম , কাটা বেগুনের টুকরো , হলুদ ,নুন ,আর চিনি।
আবারো আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে সবকিছু ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিয়ে দিলাম ,জল ঝরানো কুচানো পালংশাকগুলো। বেশি আঁচে শাক ভাজা ভাজা হতে থাকলো। মাঝে মাঝে হালকা হাতে নেড়ে দিতে লাগলাম। জল প্রায় শুকিয়ে এলে ,রান্নার স্বাদ দেখে নিলাম। বাহ্ ! ভালোই হয়েছে তো !------দিয়ে দিলাম বাকি অর্ধেক করে কাটা কাঁচালঙ্কা গুলো। বেশি আঁচে কয়েকবার নেড়ে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিলাম। সমস্ত পালংশাকভাজা ঢাকা দিয়ে তুলে রাখলাম একটা পাত্রে। আর ---ঢাকা খুলে পরিবেশন করবো দুপুরে খাবার
টেবিলে ,গরম ভাতে প্রথম পাতে ------------
খাবার টেবিলে আমরা সবাই ,পালংশাক ভাজা খেয়ে একেবারে অভিভূত ------মনে হচ্ছিলো ---আহাহা কি খাচ্ছি ! মুখ যে সুন্দর স্বাদে ভরে ভরে যাচ্ছে -------শুরুটা এতো ভালো ? --খুব ভালো --খুব ভালো ------আপনারাও আমার মতো একবার রান্না করে ,খেয়ে দেখবেন নাকি ? দেখুন না ! খুবই সহজ ,চাপাবেন আর নামাবেন -------
খুব মজা করে ,উপভোগ করে আপনারাও ভালো ভালো খান ,ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন ,আনন্দে থাকুন।
Comments