আমরা সাধারণত সারাদিনে চার বেলা খাবার খাই ---- সকালে, দুপুরে, বিকেলে আর রাতে | কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সকালের জলখাবার | জল খাবারে ঠিকঠাক ব্যালান্স থাকলে, মানে খাওয়ার শুরুটা সঠিক থাকলে, সারাদিনটাও যাবে ঠিকঠাক, আর শরীর থাকবে সুস্থ |
অনেকে আছেন সকালে জল খাবারে রুটিই বেশি পছন্দ করেন | আর রুটির সঙ্গে অবশ্যই সবজি তো থাকবেই | আমি আমাদের জলখাবারের মেনুতে আজ রেখেছি রুটি আর বাঁধাকপির চচ্চড়ি | হালকা অথচ সুন্দর স্বাদের এই তরকারি রুটির সঙ্গে খুবই ভালো লাগে |
এই চচ্চড়ি রাঁধার জন্য ছোট ছোট সাইজের দেশি বাঁধাকপি বড়োই উপযোগী | আমার রান্নাঘরে বাঁধাকপি চচ্চড়ি রান্নার সব উপকরণ জোগাড় করাই রয়েছে | তাই আর দেরি না করে রান্নাটা শুরু করে দিলাম |
উপকরণ :-
বাঁধাকপি - ১টি ছোট সাইজের (একেবারে মিহি করে কুচানো)
আলু - ৩,৪টি মাঝারি সাইজের (ছোট ছোট ডুমো ডুমো করে কাটা)
টমেটো - ২টি খুব ছোট সাইজের (ছোট ছোট ডুমো ডুমো কাটা)
কাঁচা লঙ্কা - ৬,৭টি (অর্ধেক করে চেরা)
নূন - প্রয়োজন মতো
চিনি - সামান্য (স্বাদের জন্য)
হলুদ - ১/২ চামচ
পাঁচ ফোড়ন - ১/২ চামচ
গোটা শুকনো লঙ্কা - ১টি বা ২টি
সর্ষের তেল - ৩,৪ চামচ (প্রয়োজন মতো)
পদ্ধতি :-
কুচানো বাঁধাকপি ভালো করে জলে দিয়ে, জল ঝরিয়ে রাখলাম | গ্যাসে কড়াই গরম করে তেল দিলাম | তেল গরম হলে, দিলাম পাঁচ ফোড়ন, ফাটানো শুকনো লঙ্কা ও ২,৪টি চেরা কাঁচা লঙ্কা, দিলাম ছোট ছোট ডুমো ডুমো আলুর টুকরো গুলো |
আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে সমস্ত উপকরণ নিয়ে আলু ভালো করে ভাজতে লাগলাম | আলু রাঙা রাঙা হলে, আঁচ কমিয়ে দিলাম, কুচানো বাঁধাকপি, নূন, চিনি, হলুদ | আবার আঁচ বাড়িয়ে ভালো করে নাড়তে লাগলাম |
বাঁধাকপি থেকে জল বার হতে শুরু করলে, কম আঁচে একটা ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষন রান্না হতে দিলাম | ঢাকা খুলে মাঝে মাঝে নেড়ে দিলাম; আবার ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিলাম | এই ভাবে বাঁধাকপি মজে গেলে, আঁচ বাড়িয়ে বাকি চেরা লঙ্কা গুলো দিয়ে রান্নাটা নাড়তে লাগলাম |
জল কমে রান্নাটা একেবারে ভাজা ভাজা হয়ে এলে, রান্নার স্বাদ দেখে নিলাম আর গ্যাস বন্ধ করে দিলাম | জলখাবারের প্লেটে বাঁধাকপির চচ্চড়ি আর গরম গরম রুটি ------ ভীষণ ভীষণই ভালো !!!
আপনারাও ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন |
תגובות