top of page

মুখরোচক - আলু - ডিম্


সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। আজকে তো বৃষ্টি হবেই হবে। ভাবতে ভাবতেই খুব জোরে মেঘের গর্জন। আর কিছুক্ষনের মধ্যেই ঝম ঝমা ঝম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। সঙ্গে সঙ্গে গুমোট ভাব কেটে গিয়ে বাতাসে ঠান্ডা জলের ছিটে। হঠাৎ দেখি বাড়ির সবাই আমাকে ঘিরে ধরেছে। প্লিজ ! প্লিজ ! গরম তো অনেক কেটে গেছে। জলখাবারে সামান্য মুখরোচক কিছু করতো।


হঠাৎ করে কি মুখরোচক তৈরি করবো ? দেখি ভেবে দেখি। আলু - ডিম্ দিয়ে যদি একটু ভুজিয়া তৈরি করি ,তাহলে কেমন হয় ? আলু ভাজা তো দারুন লাগে ,আর তার মধ্যে ডিম্ ছিটানো থাকলে তো ,কোনো কথাই হবে না। তখন আলু ভুজিয়া খুবই মুখরোচক। রুটি বলো,পাউরুটিই বলো ,আর গরম গরম ডাল ভাতই বলো : সবেতেই দারুন ! সবাইকে বললাম ,খেতে ভালো লাগবে তেমন কিছু এই জলখাবারেই বানিয়ে দিচ্ছি। সবাই নিশ্চিন্ত হয়ে যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলো। আমিও চললাম আলু ভুজিয়া তৈরি করতে।


উপকরণ :-


  • আলু - ৭-৮ টি বড়ো সাইজের ( খোসা ছাড়িয়ে খুব ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে কাটা )

  • পেঁয়াজ - ৭-৮টি মাঝারি সাইজের ( খোসা ছাড়িয়ে খুব ছোট ছোট টুকরো করে কাটা )

  • ডিম্ - ৩-৪টি

  • কাঁচালঙ্কা - ৭-৮টি ( মিহি করে কুচানো )

  • নুন - প্রয়োজনমতো

  • চিনি - ২-১ দানা ( ইচ্ছা না হলে নাও দিতে পারেন ,দিলে অবশ্য হালকা স্পেশাল একটা টেস্ট হয় )

  • সাদা তেল - প্রয়োজনমতো


পদ্ধতি :-



আলু ভুজিয়া তে কিন্তু আলুই স্পেশাল। ছোট ছোট টুকরো করে আলু গুলো কেটে নিয়েই জলে ভিজিয়ে দিয়েছিলাম। কাটা আলু জল ছাড়া বেশিক্ষন হাওয়াতে থাকলেই কালো হয়ে যায়। আলু কাটা কিন্তু কালো হওয়া চলবে না। তাই তাড়াতাড়ি জলে ভিজিয়ে দেওয়া।


গ্যাস জ্বালিয়ে ,গ্যাসে কড়াই চাপলাম। দিলাম পরিমাণমতো সাদা তেল। তেল গরম হলে আঁচ কমিয়ে, জল ঝরানো কাটা আলুগুলো কড়াইতে দিয়ে দিলাম। দিলাম নুন আর ২-১ দানা চিনি।




( কেউ ইচ্ছে হলে ২-১ চিমটি মানে একটুখানি হলুদ আলুর মধ্যে দিতে পারেন ,যদিও আমি দিইনি। ) আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে আলু ভাজতে লাগলাম।আলু হালকা লাল লাল আর একটু নরম হতেই দিলাম ,ছোট ছোট করে কাটা পেঁয়াজকুচি আর মিহি করে কুচানো কাঁচালঙ্কা কুচি গুলো। সমস্ত উপকরণ আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে মুচমুচে করে ভেজে নিলাম। এক ফাঁকে নুন ,ঝালের তাকটাও চেখে নিলাম। আঁচ কমিয়ে দিলাম।


এবার একটা পাত্রে ৩-৪টি ডিম্ ভেঙে নিয়ে দিলাম ১ চিমটে নুন। ভালো করে ফেটিয়ে নিলাম। এখন আঁচ বাড়িয়ে ,আলু ভাজার মধ্যে ডিমের মিশ্রণ ঢেলে দিলাম। আঁচ বাড়ানো অবস্থায় ভালো করে মিশ্রণটা নাড়তে লাগলাম। আলু আর ডিমের ভাজা ঝুরঝুরে হয়ে এলেই গ্যাস বন্ধ করে দিলাম।


আমি কথা রেখেছি বলে সবাই খুব খুশি। আর আলু - ডিম্ ভাজা কার না ভালো লাগবে ? খুবই মুখরোচক ,খুবই টেস্টি টেস্টি.....এ- কথাটা বলার কোনো অপেক্ষাই রাখে না। সুতরাং সব্বাই খুব খুব খুশি মনে,আনন্দ করতে করতে জলখাবারের পাট শেষ করলো। আর ? ......আর আমার শুরু হলো দ্বিতীয় পর্যায় .............


যাই খান না কেনো ... আনন্দ করে খান । সুস্থ থাকুন ,ভালো থাকুন।




3 views0 comments

Comments


bottom of page