চাটনি !!! শুনেই জিভে জল চলে আসে। রান্নায় এক অতি মূল্যবান পদ। চাটনি খেতে পছন্দ করে না ,এমন লোক পাওয়া বোধ ...হয় একটু মুশকিলই হবে। আমরা নানা রকমের চাটনি রেঁধে খাই। আর প্রত্যেকটাই আমরা সব্বাই খুবই পছন্দ করি। শেষ পাতে চাটনি .....খাওয়াটা যেন সম্পূর্ণ করে দেয়।একটু যেটা বাকি ছিল ,চাটনিতে তা ভরে গেলো। মন যেন এটাই চায়।
প্রত্যেক রান্নাঘরেই মাঝে মাঝে কোনো না কোনো চাটনির মেনু থাকেই। আর গরমের সময়ে আমের চাটনির তো কোনো তুলনাই নেই। কাঁচা কচি কচি আমের চাটনি ! আহা -হা কি দারুণই না লাগে ! আজ আমি কাঁচা আমের ভাজা মশলা আর গুড় দিয়ে চাটনি করছি। খেতে বড়োই ভালো। অসাধারণ তো বটেই আর খুব খুব টেস্টি টেস্টি
উপকরণ :-
কাঁচা আম - ৫০০ গ্রাম ( খোসা ছাড়িয়ে পাতলা পাতলা টুকরো টুকরো করে কাটা )
আখের গুড় - ৫০০ গ্রাম ( ভেঙে ভেঙে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে রাখা )
ভাজা মশলা - ২ চামচ মতো ( ১ চামচ গোটা জিরে ,১চামচ গোটা ধোনে ,খুব ছোট্ট একটা গোটা শুকনো লঙ্কা কড়াইতে ভেজে নিয়ে ,গুঁড়ো করে রাখা। মশলাটাতে খুব সুন্দর গন্ধ আর স্বাদ হয়)
পাঁচফোড়ন - ১-১.৫ চামচ
হলুদ - ১-১.৫ চামচ
নুন - প্রয়োজনমতো
সর্ষের তেল - প্রয়োজনমতো
পদ্ধতি :-
প্রথমেই কাটা আমের টুকরো গুলো ভালো করে জলে ধুয়ে ,জল ঝরিয়ে নিলাম । ভাজা মশলা তৈরি করে ঢাকা দিয়ে রাখলাম। গ্যাসে কড়াই চাপিয়ে প্রয়োজনমতো সর্ষের তেল দিলাম। তেল গরম হলে আঁচ কমিয়ে দিলাম ২টি ফাটানো শুকনো লঙ্কা ,পাঁচফোড়ন আর কাটা আমের টুকরো গুলো। আঁচ বাড়িয়ে কয়েকবার নাড়াচাড়া করে নিয়ে আঁচ কমিয়ে ,দিলাম হলুদ আর নুন। এবার আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে বেশ কিছুক্ষন নাড়তে লাগলাম।
রান্না থেকে আম ভাজার সুন্দর গন্ধ বের হতেই ,আঁচ বাড়িয়ে প্রয়োজনমতো জল দিলাম। জল ফুটে উঠলে দিলাম ভাঙা ভাঙা আখের গুড়ের টুকরো গুলো। বেশি আঁচে আম আর গুড় ফুটতে লাগলো। বেশ ঘন ঘন হয়ে এলে ,চাটনির স্বাদ ঠিক ঠাক হয়েছে কিনা দেখে নিলাম। ঠিক ঠাক মনে হতেই ভাজা মশলা
কড়াইতে দিয়ে দিলাম আর সমস্ত মিশ্রণ ভালো করে নেড়েচেড়ে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে ,চাটনি ঠান্ডা হতে দিলাম।
অসহ্য গরমের পর আজ ওয়েদার খুব সুন্দর। ভোর রাতে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। তাই সকাল থেকেই বেশ স্বস্তি আর আরাম লাগছে। আজ রান্নাঘরে নানা ধরণের পদ রান্না করতে বেশ ভালোই লাগছিলো। দুপুরের মেনুতে নিরামিষ ,আমিষের পদগুলো সবাই খুব তৃপ্তি আর আনন্দ করেই খেয়েছে। সবাই খুশি। হঠাৎ খাওয়ার শেষ পাতে গুড় আমের চাটনি দেখে ,সবার খুশি খুশি মুখগুলো দেখার মতো হয়ে গেলো।সবাই একসাথে বলে উঠলো ,আজ করেছো কি ? বড়োই আনন্দ । খাওয়ার শেষ পাতে মন আনন্দে একেবারে ভরে গেলো যে। শুনে আমারও মন ভরে গেলো আনন্দে।
সবাই আনন্দে থাকবেন ,সুস্থ থাকবে, খুব ভালো থাকবেন।
Comments